বাঙ্গালা ভাষা – স্বামী বিবেকানন্দ (প্রবন্ধ) উচ্চমাধ্যমিক বাংলা তৃতীয় সেমিস্টার MCQ One-Liner প্রশ্ন উত্তর HS Class 12 Bengali Bangla Vasa MCQ Question and Answer

স্বামী বিবেকানন্দের 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধ
বাঙ্গালা ভাষা – স্বামী বিবেকানন্দ

জ্ঞানতত্ত্বের দিগন্ত: স্বামী বিবেকানন্দের 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধের গভীরে (Exploring the Horizons of Knowledge: Delving into Swami Vivekananda's 'Bangla Bhasha' Essay)

নমস্কার পাঠকবৃন্দ!

Notezy -এ স্বাগতম!

আজ আমরা স্বামী বিবেকানন্দের এক অসাধারণ প্রবন্ধ, 'বাঙ্গালা ভাষা' নিয়ে আলোচনা করব, যা কেবল ভাষাগত আলোচনা নয়, বরং জাতি গঠন ও লোকশিক্ষার এক গভীর দর্শন।

এই প্রবন্ধে স্বামীজি ভাষার গুরুত্ব, এর সরলীকরণ এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে জ্ঞান পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন।

চলুন, এই প্রবন্ধের মূল ভাব, কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ, এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে এর গভীরে প্রবেশ করি।

প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ (Essay Summary)

স্বামী বিবেকানন্দের 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি মূলত একটি চিঠি, যা তিনি ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ২০ ফেব্রুয়ারি 'উদ্বোধন' পত্রিকার সম্পাদককে লিখেছিলেন.

এই প্রবন্ধে স্বামীজি লোকশিক্ষার জন্য একটি সহজবোধ্য ভাষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন.

তিনি মনে করেন, আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে সমস্ত বিদ্যা সংস্কৃতে থাকায় বিদ্বান ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি বিশাল ব্যবধান (অপার সমুদ্র) তৈরি হয়েছে.

তিনি বুদ্ধদেব থেকে চৈতন্য ও শ্রীরামকৃষ্ণ পর্যন্ত সকল মহাপুরুষের লোকশিক্ষার জন্য প্রচলিত ভাষার ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন.

স্বামীজি সাধু ভাষা এবং জটিল পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষার পরিবর্তে সহজ ও স্বাভাবিক চলিত ভাষার ব্যবহারের পক্ষপাতী.

তিনি বলেন যে, ভাষার চেয়ে 'ভাব' অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ. তিনি কলকাতা অঞ্চলের ভাষাকে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে বলে তাঁর বিশ্বাস.

তাঁর মতে, উন্নতির প্রধান উপায় ও লক্ষণ হল 'ভাষা'. তিনি গ্রাম্য ঈর্ষা ভুলে গিয়ে সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য একটি সহজ, স্বাভাবিক এবং কার্যকর ভাষা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন.

তিনি কৃত্রিম ও অস্বাভাবিক ভাষা তৈরি করার পরিবর্তে স্বাভাবিক ভাষার উপর জোর দিয়েছেন. প্রবন্ধটি 'ভাববার কথা' গ্রন্থের অন্তর্গত.

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ (Important Word Meanings)

পাণ্ডিত্য (Panditya): গভীর জ্ঞান বা প্রজ্ঞা.
কিম্ভুতকিমাকার (Kimbhutkimakar): অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক.
লোকহিতায় (Lokohitay): জনগণের কল্যাণের জন্য.
নমনীয়তা (Namaniyata): সহজে পরিবর্তনযোগ্যতা, নমনীয়তা.
কমনীয়তা (Kamaniyata): আকর্ষণীয়তা বা সৌন্দর্য.
অপার সমুদ্র (Apar Samudra): বিশাল ব্যবধান বা পার্থক্য.
সাফ্-ইস্পাত (Saf-Ispat): পরিষ্কার ইস্পাত বা ধারালো বস্তু. (এখানে ভাষার তীক্ষ্ণতা বোঝাতে ব্যবহৃত)
গদাই-লস্করি চাল (Gadai-Laskari Chal): ধীর, মন্থর এবং ভারিক্কি চলন. (এখানে ভাষার জটিলতা বোঝাতে ব্যবহৃত)
অর্বাচীন (Arbachin): আধুনিক বা সাম্প্রতিক কালের.
উৎসন্ন (Utsanna): ধ্বংসপ্রাপ্ত বা অধঃপতিত.

ফ্যাক্ট ফাইল: 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধ (Fact File: 'Bangla Bhasha' Essay)

প্রবন্ধের লেখক: স্বামী বিবেকানন্দ।
জন্ম ও প্রয়াণ: ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ - ৪ জুলাই, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ।
প্রবন্ধের ধরন: মূলত একটি চিঠি
চিঠি লেখার তারিখ: ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি।
চিঠির প্রাপক: 'উদ্বোধন' পত্রিকার সম্পাদক।
প্রবন্ধটি যে গ্রন্থের অংশ: 'ভাববার কথা' (দ্বিতীয় প্রবন্ধ)।
স্বামীজির বিশ্বাস: বেদান্ত মতে বিশ্বাসী।
প্রচারক হিসেবে: সফল কথ্য ভাষার প্রচারক , জাতীয়তাবোধ ও মানবতাবোধের প্রচারক।
দৃষ্টিভঙ্গি: যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব সম্পন্ন।
বিদেশযাত্রা: দুইবার বিদেশযাত্রা করেন (দ্বিতীয়বার ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে)।
লোকশিক্ষার মাধ্যম: স্বামীজির মতে, লোকশিক্ষার জন্য চলিত ভাষা (স্বাভাবিক ভাষা) অপরিহার্য।
ভাষার মূল উদ্দেশ্য: ভাষার চেয়ে ভাব (idea/thought) বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাচীন বিদ্যা: সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত বিদ্যা বর্তমান ছিল।
সংস্কৃত ভাষার প্রভাব: বিদ্বান ও সাধারণের মধ্যে 'অপার সমুদ্র' (বিশাল ব্যবধান) তৈরি হয়েছে।
লোকহিতৈষী মনীষীগণ: বুদ্ধদেব (পালি ভাষায়), চৈতন্যদেব, শ্রীরামকৃষ্ণ সকলেই প্রচলিত ভাষা ব্যবহার করেছেন।
আদর্শ বাংলা ভাষা: কলকাতার ভাষা
কলকাতার ভাষার বিস্তৃতি: স্বামীজির বিশ্বাস, চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত কলকাতার ভাষাই প্রচলিত হবে।
ভাষার রূপ: ভাষাকে 'সাফ ইস্পাত' -এর মতো ধারালো হতে হবে, 'গদাই-লস্করি চাল' বা 'মড়ার লক্ষণ' হওয়া যাবে না।
কিসের উন্নতি: ভাষা হচ্ছে উন্নতির প্রধান উপায় ও লক্ষণ।
আহ্বান: গ্রাম্য ঈর্ষা ভুলে গিয়ে সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য একটি সহজ ভাষা গ্রহণ করা।
রচনার বৈশিষ্ট্য: স্বামীজির মতে, রচনা হবে সংস্কৃত মুক্ত, প্রাঞ্জল এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জাতীয় জীবনে ভাষার প্রভাব: জাতীয় জীবনে বল (শক্তি) আসলে ভাষা, শিল্প, সংগীত আপনা আপনি ভাবময় ও প্রাণপূর্ণ হয়ে উঠবে।

এক বাক্যে উত্তর দাও (Answer in One Sentence)

  1. ১. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটির লেখক কে?
    উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ
  2. ২. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধে স্বামীজি কত খ্রিস্টাব্দে পত্র লিখেছিলেন?
    উত্তর: স্বামীজি ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ২০ ফেব্রুয়ারি পত্র লিখেছিলেন.
  3. ৩. স্বামীজি কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে পত্রটি লিখেছিলেন?
    উত্তর: স্বামীজি উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদককে পত্রটি লিখেছিলেন.
  4. ৪. কোন ভাষাতে সমস্ত বিদ্যা বর্তমান?
    উত্তর: সংস্কৃত ভাষাতে সমস্ত বিদ্যা বর্তমান.
  5. ৫. কোন্ ভাষার দ্বারা বিদ্বান ও সাধারণের মধ্যে অপার সমুদ্র তৈরি হয়ে যায়?
    উত্তর: সংস্কৃত ভাষার দ্বারা বিদ্বান ও সাধারণের মধ্যে অপার সমুদ্র তৈরি হয়ে যায়.
  6. ৬. রাগ, দুঃখ, ভালোবাসা কোন্ ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা যায়?
    উত্তর: রাগ, দুঃখ, ভালোবাসা চলিত ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা যায়.
  7. ৭. আমাদের দেশে কোন্ সময় থেকে সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত বিদ্যার প্রচলন ছিল?
    উত্তর: আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকে সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত বিদ্যার প্রচলন ছিল.
  8. ৮. সাধারণ মানুষ কোন্ ভাষা জানে না?
    উত্তর: সাধারণ মানুষ সংস্কৃত ভাষা জানে না.
  9. ৯. কোন ভাষার মধ্যে নমনীয়তা ও কমনীয়তা দুই-ই আছে?
    উত্তর: চলিত ভাষার মধ্যে নমনীয়তা ও কমনীয়তা দুই-ই আছে.
  10. ১০. গৌতম বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণ পর্যন্ত সকলেই কোন ধরনের ভাষাকে লোকশিক্ষার উপযুক্ত বলে মনে করেন?
    উত্তর: গৌতম বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণ পর্যন্ত সকলেই মান্যচলিত ভাষাকে লোকশিক্ষার উপযুক্ত বলে মনে করেন.
  11. ১১. বাংলা দেশে বিভিন্ন ভাষার চল থাকলেও স্বামীজি কোন্ স্থানের ভাষাকে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন?
    উত্তর: বাংলা দেশে বিভিন্ন ভাষার চল থাকলেও স্বামীজি কলকাতার ভাষাকে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন.
  12. ১২. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি কোন্ গ্রন্থের অন্তর্গত?
    উত্তর: 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি ভাববার কথা গ্রন্থের অন্তর্গত.
  13. ১৩. 'বাঙ্গলা ভাষা' প্রবন্ধটিতে কোন্ ভাষারীতি প্রযুক্ত হয়েছে এবং বক্তা কে?
    উত্তর: 'বাঙ্গলা ভাষা' প্রবন্ধটিতে চলিত ও সাধু উভয় ভাষারীতি প্রযুক্ত হয়েছে এবং বক্তা চলিত ভাষারীতি. (নোট: এখানে উৎস অনুযায়ী বক্তা বলা কঠিন, তবে প্রবন্ধটি বিবেকানন্দের রচনাশৈলীতে লেখা)
  14. ১৪. স্বামীজি ভাষার চেয়ে কোন্ বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?
    উত্তর: স্বামীজি ভাষার চেয়ে ভাব বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন.
  15. ১৫. বুদ্ধদেব কোন ভাষায় লোকশিক্ষা দিয়েছিলেন?
    উত্তর: বুদ্ধদেব পালি ভাষায় লোকশিক্ষা দিয়েছিলেন.
  16. ১৬. প্রাচীনকাল থেকে সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত বিদ্যা লিখিত থাকার জন্য কাদের মধ্যে অপার সমুদ্র দাঁড়িয়ে গেছে?
    উত্তর: প্রাচীনকাল থেকে সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত বিদ্যা লিখিত থাকার জন্য বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে অপার সমুদ্র দাঁড়িয়ে গেছে.
  17. ১৭. বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব কী জন্য বলে লেখকের মন্তব্য?
    উত্তর: বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব লোকহিতায় জন্য বলে লেখকের মন্তব্য.
  18. ১৮. পাণ্ডিত্যকে লেখক কী বলে বিশেষিত করেছেন?
    উত্তর: পাণ্ডিত্যকে লেখক উৎকৃষ্ট বলে বিশেষিত করেছেন.
  19. ১৯. স্বামী বিবেকানন্দের মতে, চলিত ভাষাতেও পাওয়া যেতে পারে কী?
    উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দের মতে, চলিত ভাষাতেও পাওয়া যেতে পারে শিল্পনৈপুণ্য.
  20. ২০. কোন ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তৈরি নিষ্প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেন?
    উত্তর: স্বাভাবিক ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তৈরি নিষ্প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেন.
  21. ২১. ভাষাকে কেমন করতে হবে বলে লেখকের মত?
    উত্তর: ভাষাকে সাফ-ইস্পাত করতে হবে বলে লেখকের মত.
  22. ২২. সাফ-ইস্পাত এক চোটে কী কেটে দেয়?
    উত্তর: সাফ-ইস্পাত এক চোটে পাথর কেটে দেয়.
  23. ২৩. আমাদের ভাষা-সংস্কৃত, তার চলন কেমন?
    উত্তর: আমাদের ভাষা-সংস্কৃত, তার চলন গদাই-লস্করি.
  24. ২৪. 'সাফ্-ইস্পাত' এক চোটে পাথর কেটে দেয়, কিন্তু কী পড়ে না?
    উত্তর: 'সাফ্-ইস্পাত' এক চোটে পাথর কেটে দেয়, কিন্তু দাঁত পড়ে না.
  25. ২৫. "ঐ এক-চাল নকল করে অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।"- কোন চাল?
    উত্তর: "ঐ এক-চাল নকল করে অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।" - গদাই-লঙ্করি চাল.
  26. ২৬. 'উন্নতির প্রধান উপায়, লক্ষণ'- কী বলে লেখকের মন্তব্য?
    উত্তর: 'উন্নতির প্রধান উপায়, লক্ষণ'- ভাষা বলে লেখকের মন্তব্য.
  27. ২৭. বাঙ্গালা দেশের স্থানে স্থানে রকমারি ভাষা, কোল্টি গ্রহণ করব?
    উত্তর: বাঙ্গালা দেশের স্থানে স্থানে রকমারি ভাষা, কলকেতার ভাষা গ্রহণ করব.
  28. ২৮. ""সেইটিই নিতে হবে।""-কী নেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: ""সেইটিই নিতে হবে।"" - কলকেতার ভাষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে.
  29. ২৯. ""যে দিক হতেই আসুক না,""-পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ দিকের কথা উল্লেখ আছে?
    উত্তর: ""যে দিক হতেই আসুক না,""-পাঠ্যাংশে পূর্ব-পশ্চিম দিকের কথা উল্লেখ আছে.
  30. ৩০. ""সেই ভাষাই লোকে কয়।""-কোন্ ভাষা?
    উত্তর: ""সেই ভাষাই লোকে কয়।""- কলকেতার ভাষা.
  31. ৩১. ""যত রেল এবং গতাগতির সুবিধা হবে।"" -তত কী হবে?
    উত্তর: ""যত রেল এবং গতাগতির সুবিধা হবে।"" -তত পূর্ব-পশ্চিম ভেদ উঠে যাবে.
  32. ৩২. কোথা থেকে কোথায় পর্যন্ত কলকাতার ভাষাই চলবে বলে স্বামীজির ধারণা?
    উত্তর: চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত কলকাতার ভাষাই চলবে বলে স্বামীজির ধারণা.
  33. ৩৩. পুস্তকের ভাষা এবং ঘরে কথা বলার ভাষা এক করতে হলে বুদ্ধিমানরা কী করবেন বলে লেখকের ধারণা?
    উত্তর: পুস্তকের ভাষা এবং ঘরে কথা বলার ভাষা এক করতে হলে বুদ্ধিমানরা কলকেতার ভাষাকে ভিত্তিস্বরূপ গ্রহণ করবেন বলে লেখকের ধারণা.
  34. ৩৪. পাঠ্যাংশে কী জলে ভাসান দিতে হবে বলে লেখক বলেছেন?
    উত্তর: পাঠ্যাংশে গ্রাম্য ঈর্ষা জলে ভাসান দিতে হবে বলে লেখক বলেছেন.
  35. ৩৫. শেষ আচার্যরূপে কার ভাষা দেখার কথা বলেছেন লেখক?
    উত্তর: শেষ আচার্যরূপে শঙ্করের ভাষা দেখার কথা বলেছেন লেখক.
  36. ৩৬. ভাবের বাহক কী?
    উত্তর: ভাবের বাহক ভাষা.
  37. ৩৭. কীসের সাজ-পরানো ঘোড়ার কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: হীরে-মতির সাজ-পরানো ঘোড়ার কথা বলা হয়েছে.
  38. ৩৮. হীরে-মতির সাজ পরানো ঘোড়ার উপর কাকে বসানোর কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: হীরে-মতির সাজ পরানো ঘোড়ার উপর বাঁদর বসানোর কথা বলা হয়েছে.
  39. ৩৯. কার সংস্কৃতকে দেখার কথা স্বামীজি বলেছেন?
    উত্তর: ব্রাহ্মণ-এর সংস্কৃতকে দেখার কথা স্বামীজি বলেছেন.
  40. ৪০. 'মীমাংসাভাষ্য' কার?
    উত্তর: 'মীমাংসাভাষ্য' শবরস্বামীর.
  41. ৪১. 'মহাভাষ্য' কার লেখা?
    উত্তর: 'মহাভাষ্য' পতঞ্জলির লেখা.
  42. ৪২. সমস্ত দেশের কল্যাণের জন্য কী ভুলে যেতে হবে?
    উত্তর: সমস্ত দেশের কল্যাণের জন্য জেলা বা গ্রামের প্রাধান্য ভুলে যেতে হবে.
  43. ৪৩. অর্বাচীনকালের কী দেখার কথা বলেছেন লেখক?
    উত্তর: অর্বাচীনকালের সংস্কৃত ভাষা দেখার কথা বলেছেন লেখক.
  44. ৪৪. কত পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের কথা বলা হয়েছে.
  45. ৪৫. দশ পাতা লম্বা লম্বা কী ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে.
  46. ৪৬. দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর দুম করে আবার কেমন বিশ্লেষণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর: দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর দুম করে আবার প্যাঁচওয়া বিশ্লেষণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে.
  47. ৪৭. দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর প্যাঁচওয়া বিশ্লেষণটি কী?
    উত্তর: দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর প্যাঁচওয়া বিশ্লেষণটি রাজা আসীৎ.
  48. ৪৮. ""কি প্যাঁচওয়া বিশ্লেষণ, কি বাহাদুর সমাস, কি শ্লেষ।।""-এসব কীসের লক্ষণ?
    উত্তর: ""কি প্যাঁচওয়া বিশ্লেষণ, কি বাহাদুর সমাস, কি শ্লেষ।।""-এসব ও সব মড়ার লক্ষণ.
  49. ৪৯. লেখকের মতে 'মড়ার লক্ষণ'-গুলি কখন উদয় হল?
    উত্তর: লেখকের মতে 'মড়ার লক্ষণ'-গুলি দেশটা যখন উৎসন্ন যেতে আরম্ভ হল তখন উদয় হল.
  50. ৫০. ""গান হচ্ছে, কি কান্না হচ্ছে, কি ঝগড়া হচ্ছে-তার কি ভাব, কি উদ্দেশ্য, তা""-কে বুঝতে পারেন না বলে বলা হয়েছে?
    উত্তর: ""গান হচ্ছে, কি কান্না হচ্ছে, কি ঝগড়া হচ্ছে-তার কি ভাব, কি উদ্দেশ্য, তা""- ভারত ঋষিও বুঝতে পারেন না বলে বলা হয়েছে.
  51. ৫১. গানের মধ্যে কীসের ধুম দেখা যায়?
    উত্তর: গানের মধ্যে প্যাঁচের ধুম দেখা যায়.
  52. ৫২. গানের মধ্যে প্যাঁচের ধুমের সঙ্গে আর কী দেখা যায়?
    উত্তর: গানের মধ্যে প্যাঁচের ধুমের সঙ্গে আঁকাবাঁকা ডামাডোল দেখা যায়.
  53. ৫৩. গানের মধ্যে আঁকাবাঁকা ডামাডোলের সঙ্গে কতগুলি নাড়ীর টান দেখা যায়?
    উত্তর: গানের মধ্যে আঁকাবাঁকা ডামাডোলের সঙ্গে ছত্রিশ নাড়ীর টান দেখা যায়.
  54. ৫৪. কার 'নকল দাঁতে দাঁত চেপে, নাকের মধ্য দিয়ে আওয়াজে সে গানের আবির্ভাব'?
    উত্তর: মুসলমান ওস্তাদের নকল দাঁতে দাঁত চেপে, নাকের মধ্য দিয়ে আওয়াজে সে গানের আবির্ভাব.
  55. ৫৫. মুসলমান ওস্তাদের নকল দাঁতে দাঁত চেপে কোথা দিয়ে গানের আওয়াজ বেরোনোর কথা বলেছেন লেখক?
    উত্তর: মুসলমান ওস্তাদের নকল দাঁতে দাঁত চেপে নাকের মধ্য দিয়ে গানের আওয়াজ বেরোনোর কথা বলেছেন লেখক.
  56. ৫৬. চলিত কথার ভাবরাশিতে কী দেখলেই মনে ভক্তি আসবে?
    উত্তর: চলিত কথার ভাবরাশিতে দেবতার মূর্তি দেখলেই মনে ভক্তি আসবে.
  57. ৫৭. দুটি চলিত কথায় যে ভাবরাশি আসবে তা কতগুলি ছাঁদি বিশেষণেও আসবে না বলে লেখক মন্তব্য করেছেন?
    উত্তর: দুটি চলিত কথায় যে ভাবরাশি আসবে তা দু-হাজার ছাঁদি বিশেষণেও আসবে না বলে লেখক মন্তব্য করেছেন.
  58. ৫৮. জাতীয় জীবনে বল আসলে ভাষা-শিল্প-সংগীত আপনা আপনি কী হয়ে দাঁড়াবে বলে লেখকের ধারণা?
    উত্তর: জাতীয় জীবনে বল আসলে ভাষা-শিল্প-সংগীত আপনা আপনি ভাবময় প্রাণপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে বলে লেখকের ধারণা.
  59. ৫৯. চলিত কথার ভাবরাশিতে গহনা-পরা মেয়ে মাত্রই কী বলে বোধ হবে?
    উত্তর: চলিত কথার ভাবরাশিতে গহনা-পরা মেয়ে মাত্রই দেবী বলে বোধ হবে.
  60. ৬০. স্বামী বিবেকানন্দ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
    উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
  61. ৬১. স্বামী বিবেকানন্দ কত খ্রিস্টাব্দে দেহত্যাগ করেন?
    উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ ৪ জুলাই, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে দেহত্যাগ করেন।
  62. ৬২. স্বামী বিবেকানন্দ কোন মতের বিশ্বাসী ছিলেন?
    উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্ত মতে বিশ্বাসী ছিলেন।
  63. ৬৩. স্বামীজি কতবার বিদেশযাত্রা করেছিলেন?
    উত্তর: স্বামীজি দুইবার বিদেশযাত্রা করেছিলেন।
  64. ৬৪. স্বামীজি কত খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার বিদেশযাত্রা করেন?
    উত্তর: স্বামীজি ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার বিদেশযাত্রা করেন।
  65. ৬৫. 'ভাববার কথা' বইটির দ্বিতীয় প্রবন্ধ কোনটি?
    উত্তর: 'ভাববার কথা' বইটির দ্বিতীয় প্রবন্ধ 'বাঙ্গালা ভাষা'
  66. ৬৬. স্বামীজি কীভাবে ভাষাকে করতে চেয়েছেন?
    উত্তর: স্বামীজি ভাষাকে সাফ ইস্পাতের মতো করতে চেয়েছেন।

শূন্যস্থান পূরণ করো (Fill in the Blanks)

  1. ১. আমাদের দেশে প্রাচীন কালে সংস্কৃতয় সমস্ত বিদ্যা ছিল।
  2. ২. বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে একটা অপার সমুদ্র দাঁড়িয়ে গেছে।
  3. ৩. বুদ্ধ থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণ পর্যন্ত- যাঁরা 'লোকহিতায়' এসেছেন।
  4. ৪. পান্ডিত্য অবশ্য উৎকৃষ্ট; কিন্তু কটমট ভাষা কিম্ভুত-কিমাকার।
  5. ৫. স্বাভাবিক ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তয়ের করে কি হবে?
  6. ৬. ভাষাকে সাফ্-ইস্পাত করতে হবে- যেমন ধারালো।
  7. ৭. 'আমাদের ভাষা-সংস্কৃত', তার চাল গদাই-লস্করি
  8. ৮. ভাষা হচ্ছে উন্নতির প্রধান উপায়,-লক্ষণ।
  9. ৯. বাঙ্গালা দেশের স্থানে স্থানে রয়েছে রকমারি ভাষা
  10. ১০. চট্টগ্রাম হতে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত ঐ কলকাতার ভাষাই চলবে।
  11. ১১. যত রেল এবং গতাগতির সুবিধা হবে, তত পূর্ব-পশ্চিমী ভেদ উঠে যাবে।
  12. ১২. চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত ঐ কলকেতার ভাষাই চলবে।
  13. ১৩. গ্রাম্য ঈর্ষাটিকেও জলে ভাসান দিতে হবে।
  14. ১৪. "সমস্ত দেশের যাতে কল্যাণ সেথা তোমার জেলা বা গ্রামের প্রাধান্যটি ভুলে যেতে হবে।"
  15. ১৫. "ভাষা ভাবের বাহক।"
  16. ১৬. "ভাবই প্রধান আগে ভাষা পরে।"
  17. ১৭. "হীরে-মতির সাজ-পরানো ঘোড়ার উপর বাঁদর বসালে কী ভালো দেখায়?"
  18. ১৮. "ব্রাহ্মণ'-এর সংস্কৃত দেখ,"
  19. ১৯. "শবরস্বামীর 'মীমাংসাভাষ্য' দেখ,"
  20. ২০. অর্বাচীন কালের সংস্কৃত দেখ।
  21. ২১. লম্বা লম্বা বিশেষণের পর দুম করে- দশ পাতা 'রাজা আসীৎ!!! আহাহা।”
  22. ২২. "ও সব মড়ার লক্ষণ।"
  23. ২৩. "যখন দেশটা উৎসন্ন যেতে আরম্ভ হল, তখন এইসব চিহ্ন উদয় হল।"
  24. ২৪. "তা ভারত ঋষিও বুঝতে পারেন না।"
  25. ২৫. ছত্রিশ নাড়ীর টান তায় রে বাপ।"
  26. ২৬. "তার উপর মুসলমান ওস্তাদের নকল দাঁতে দাঁত চেপে, নাকের মধ্যে দিয়ে আওয়াজে সে গানের আবির্ভাব।”
  27. ২৭. স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন সফল কথ্য ভাষার প্রচারক
  28. ২৮. স্বামীজি ছিলেন জাতীয়তাবোধমানবতাবোধের প্রচারক।
  29. ২৯. স্বামীজি ছিলেন যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব সম্পন্ন।
  30. ৩০. স্বামীজি দ্বিতীয়বার বিদেশযাত্রার সময় আমেরিকা থেকে উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদককে পত্র লিখেছিলেন।
  31. ৩১. 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি উদ্বোধন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত স্বামীজির 'ভাববার কথা' বইটির অন্তর্গত।
  32. ৩২. স্বামীজির মতে সংস্কৃত ভাষা বিদ্বান ও সাধারণের মধ্যে একটা বিশাল পার্থক্য গড়ে তোলে।
  33. ৩৩. পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীগণ যাঁরা লোকহিতায়ে কাজ করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক ভাষা অর্থাৎ চলিতভাষাকে অবলম্বন করেই তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
  34. ৩৪. স্বামীজির মতে, ভাষাকে করতে হবে সাফ ইস্পাতের মতো।
  35. ৩৫. মুচড়ে মুচড়ে যা ইচ্ছে তাই করো, আবার যে-কে-সেই
  36. ৩৬. স্বামীজি মনে করতেন বাংলা দেশের বিভিন্ন স্থানে রকমারি ভাষার প্রচলন থাকলেও কলকাতার ভাষাই একদিন বাংলা ভাষার সমস্ত ক্ষেত্রেই বিরাজ করবে।
  37. ৩৭. স্বামীজির কথায় রচনা হবে সংস্কৃত মুক্ত, প্রাঞ্জল
  38. ৩৮. রচনা মানুষের প্রতিদিনকার জীবনের সাথে যার যোগ থাকবে ওতপ্রোত

আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের স্বামী বিবেকানন্দের 'বাঙ্গালা ভাষা' প্রবন্ধটি বুঝতে সাহায্য করবে।

প্রবন্ধটি পাঠ করে আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি স্বামীজির গভীর ভালোবাসা ও দূরদর্শিতা উপলব্ধি করা যায়।