ভাষা (Vasa) - ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখাপ্রশাখা , ধ্বনিতত্ত্ব , শব্দার্থতত্ত্ব One-Liner Easy MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা

Vasa

ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা-প্রশাখা

নমস্কার বন্ধুরা, এই ব্লগ পোস্টে আমরা ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব। ভাষাবিজ্ঞান মানুষের ভাষার চর্চা, এর উৎপত্তি, গঠন, এবং ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। এটি ভাষা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যেমন অভিধান বিজ্ঞান, তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান এবং শৈলীবিজ্ঞান তুলে ধরে। এই পোস্টটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:

১. ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা-প্রশাখা:

  • ভাষাবিজ্ঞান: এটি মানুষের মুখের ভাষার বিজ্ঞানসম্মত চর্চা করে এবং এর গতি আরোহমূলক (বিশেষ থেকে সাধারণের দিকে)। লিখিত ভাষার বহু সীমাবদ্ধতা আছে; মৌখিক ভাষা বহু প্রাচীন।
  • অভিধান বিজ্ঞান: ভাষাবিজ্ঞানের যে ধারায় অভিধান রচনার ধারা বিশেষভাবে আলোচিত হয়, তাকে অভিধান বিজ্ঞান বলে।
    • সূত্রপাত: যাস্কের 'নিরুক্ত' থেকেই ভারতে অভিধান রচনার সূত্রপাত হয়েছিল।
    • 'Dictionarius' শব্দের ব্যবহার: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন গারল্যান্ড সর্বপ্রথম 'Dictionarius' শব্দটি ব্যবহার করেন 'অভিধান' বোঝাতে।
    • 'Dictionary' শব্দের ব্যবহার: ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার থমাস এলিয়েট তার লাতিন-ইংরেজি অভিধানে ইংরেজি 'Dictionary' শব্দটি ব্যবহার করেন।
  • তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান: স্যার উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে এর সূত্রপাত করেন। তিনি সংস্কৃত, গ্রিক, লাতিন ও ফারসি ভাষার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত এর হাত ধরেই।
  • ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান: এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার যে বিবর্তন এবং পরিবর্তন হয়, তা নির্দেশ করে।
  • বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান: বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এর সূত্রপাত হয়েছিল (প্রধানত ইয়োরোপে)। এর চারটি প্রধান শাখা হল: ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং শব্দার্থতত্ত্ব।
  • রূপতত্ত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ: Morphology.
  • Syntax-এর বাংলা প্রতিশব্দ: বাক্যতত্ত্ব.
  • শৈলীবিজ্ঞান: সাহিত্যের নান্দনিক দিকটি এই শাখায় আলোচিত হয়। স্যামুয়েল ওয়েসলি ভাষারীতিকে 'চিন্তার পোশাক' (The dress of thought) বলেছেন।
  • সমাজভাষাবিজ্ঞান: উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষার বা উপভাষার যে বদল হয়, তাকে 'রেজিস্টার' বলে।
  • নোয়াম চমস্কি: তার মতে "মানুষের মধ্যেই থাকে ভাষা শেখবার সামর্থ্য”। তিনি মস্তিষ্ককে 'ভাষা শেখার যন্ত্র' বলেছিলেন এবং 'সর্বজনীন ব্যাকরণ'-এর উদ্ভাবক হলেন তিনিই।
  • মস্তিষ্কের গোলার্ধ: বলা, পড়া, লেখা ইত্যাদি কর্মে মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। মানুষের স্মৃতি রোমন্থনে মস্তিষ্কের ডান গোলার্ধ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।

২. ধ্বনিতত্ত্ব:

  • ধ্বনি: ভাষাবিজ্ঞানে 'ধ্বনি' কথার অর্থ 'বাধ্বনি' এবং এটি হল ভাষার উচ্চারিত রূপ।
  • ধ্বনিতত্ত্ব: এর আলোচ্য বিষয় হলো ভাষার ধ্বনিস্তর নিয়ে আলোচনা। এটি উচ্চারণগত, শ্রুতিগত ও ধ্বনিতরঙ্গগত বিশ্লেষণ করে।
  • খণ্ডধ্বনি / বিভাজ্য ধ্বনি: ধ্বনির পৃথক খণ্ড একক।
  • বাধ্বনি: ভাষার অর্থহীন এবং ক্ষুদ্রতম একক।
  • ধ্বনি ও বর্ণ: এদের পারস্পরিক সম্পর্ক খুব জটিল। ধ্বনির প্রতীককে বর্ণ বলা হয়।
  • ধ্বনি উচ্চারণে: জিহ্বা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। মুখবিবর, জিহ্বা ও ওষ্ঠ হল মূল উপকরণ।
  • স্বরধ্বনি:
    • সংখ্যা: আদর্শ বাংলা স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭টি। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনিও ৭টি (অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা)।
    • প্রকারভেদ: 'আ' হল পশ্চাৎ স্বরধ্বনিবিবৃত স্বরধ্বনি (উচ্চারণের সময় মুখবিবর উন্মুক্ত থাকে এবং জিহ্বা শায়িত থাকে)। 'অ্যা' ধ্বনিটি হল নিম্ন-মধ্য, সম্মুখ, প্রসূত, অর্ধবিবৃত, তালব্য স্বরধ্বনি। 'ও' হল মধ্যাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি
    • যৌগিক স্বর: পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি দ্রুত উচ্চারণের সময় একটি সংযুক্ত স্বরধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয়, যেমন 'ঐ' (এ + ই)।
    • বৈশিষ্ট্য: স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময়ে মুখগহ্বরের কোথাও বাধা পায় না। 'এ' ধ্বনি বিকৃত হয় যদি 'ই' কার বা 'উ' কার পরে থাকে (যেমন: দেশি > দিশি)।
  • ব্যঞ্জনধ্বনি:
    • প্রকারভেদ: 'প্' ধ্বনির উচ্চারণগতভাবে 'প্রসূততা' নেই। 'র' ধ্বনিটি কম্পিত ধ্বনি। 'স্' ব্যঞ্জনধ্বনিটি দন্ত্যমূলীয় উষ্মধ্বনি। 'ল' ধ্বনিটি পার্শ্বিক ধ্বনি। জিহ্বামূল থেকে উচ্চারিত ধ্বনিসমূহ কণ্ঠ্যধ্বনি। 'য, র, ল, ব' - এ চারটি বর্ণ অন্তঃস্থ বর্ণ। শ, ষ, স - এই ধ্বনি তিনটিকে উষ্মধ্বনি বলে।
    • অঘোষধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না (যেমন: ক, খ, চ, ছ)।
    • নাসিক্য ধ্বনি (আনুনাসিক): যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস নাক ও মুখ দিয়ে একই সাথে বেরিয়ে যায়।
    • তাড়িত ধ্বনি: জিহ্বার অগ্রভাগ যখন দন্তমূলীয় অঞ্চলের নিচের দিকে নেমে আসে, তখন যে ধ্বনি সৃষ্টি হয়।
    • যুক্তধ্বনি: বাংলা শব্দমালায় দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশে সৃষ্ট যুক্তধ্বনি ২৮টি। তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশে তৈরি বাংলার গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা ২টি (স্ত্রী, স্পৃহা)।
    • ফলা: বাংলা বর্ণমালায় ফলা ছয়টি (ম, য, র, ল, ব, ন)।
    • অন্যান্য: 'আলতা' শব্দের 'ল' ব্যঞ্জনটি উচ্চারণের সময় জিভ দন্তে ঠেকে। 'আত্মীয়' শব্দের যুক্ত ব্যঞ্জনটিতে ত্ + ম বর্ণ সংযুক্ত আছে। ৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দের আদিতে কখনোই বসে না।
  • অবিভাজ্য ধ্বনি: মুখের কথার ধ্বনিপ্রবাহে কিছু এমন উপাদান থাকে যেগুলিকে কৃত্রিমভাবেও খন্ড করা যায় না, যেমন 'সুরতরক্ষা'।
    • শ্বাসাঘাত: একাধিক দলযুক্ত কোনো শব্দের মধ্যে যদি কোনো বিশেষ দলের উপর জোর দিয়ে শব্দটি উচ্চারণ করা হয়, তাকে শ্বাসাঘাত বলে।
    • দৈর্ঘ্য: দলের উচ্চারণে স্বরধ্বনির দীর্ঘতাকে 'দৈর্ঘ্য' বলে।
  • ধ্বনিমূল ও সহধ্বনি: প্রতিটি ধ্বনিমূল হল এক-একটি ধ্বনি পরিবার, সেই পরিবারের সদস্য সহধ্বনি। ধ্বনিমূল একটি কল্পনা, যার বাস্তব উপলব্ধি হল সহধ্বনি।
  • মুক্ত বৈচিত্র্য: উচ্চারণের সামর্থ্য অনুযায়ী যেমন খুশি উচ্চারণের ভেদকে মুক্ত বৈচিত্র্য বলে।
  • ভাষাগত সূক্ষ্মতা: ইংরেজি, আরবি ও ফারসি ভাষায় হ্রস্ব ও দীর্ঘ উচ্চারণে ঠিকমতো না করলে অর্থ বদলে যায়। বাংলা বর্ণে দ্যোতিতে ধ্বনির মধ্যে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না এমন বর্ণ হলো ঙ এবং ং / ত এবং ৎ / ন এবং ণ।

৩. শব্দার্থতত্ত্ব:

  • শব্দার্থতত্ত্ব: ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় শব্দের অর্থ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়, তাকে শব্দার্থতত্ত্ব বলে। বাক্যের অর্থের আলোচনার সঙ্গেও এটি যুক্ত।
  • শব্দার্থের দিক: শব্দার্থের প্রধানত দুটি দিক আছে - সাধারণ অর্থ (আভিধানিক অর্থ) এবং নির্দেশন (যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তু যা নির্দেশ করে)।
  • বিভিন্ন তত্ত্ব:
    • উপাদানমূলক তত্ত্ব: অনুযায়ী, অর্থ হলো কতকগুলো উপাদানের সমষ্টি।
    • সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব: এর প্রবক্তা হলেন ডোনাল্ড ডেভিডসন
    • বিষয়মূলক তত্ত্ব: এটি মূলত পরিপ্রেক্ষিতের তাৎপর্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং বলে যে কেবলমাত্র শব্দের অর্থের যোগফল বাক্যের অর্থ নয়।
    • প্রয়োগমূলক তত্ত্ব: এই তত্ত্বে বলা হয়েছে "প্রসঙ্গের বাইরে ভাষার কোনো অংশের কোনো অর্থ নেই"।
  • শব্দার্থ পরিবর্তন:
    • অর্থপ্রসার: শব্দার্থ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ পরিত্যাগ করে বিস্তৃততর অর্থে পর্যবসিত হয় (যেমন: 'কালি' - একসময় কালো রঙের তরল পদার্থ, বর্তমানে বিভিন্ন রঙের তরল পদার্থ)।
    • অর্থসংকোচন: শব্দার্থ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ পরিত্যাগ করে সংকোচিততর অর্থে পর্যবসিত হয় (যেমন: 'শ্বাপদ' শব্দটির ক্ষেত্রে ঘটেছে)।
    • অর্থের উৎকর্ষ: 'প্রদীপ' শব্দের অর্থের পরিবর্তন এর উদাহরণ।
    • অর্থের অবনতি: বর্তমানে ব্যবহৃত 'অনুশীলন' শব্দের অর্থ এবং প্রাচীন অর্থ থেকে এই ধারাটি সূচিত হয়েছে। 'জ্যাঠা' একটি উদাহরণ।
    • অর্থের রূপান্তর: 'উপবাস' শব্দটির অর্থ 'নিকটে বাস' থেকে বর্তমান অর্থ 'অনাহার' এটি এই ধারায় পড়ে।
    • অর্থান্তরভুক্তি / ব্যাপকার্থকতা: যার মধ্যে একটি শব্দের মধ্যে এক বা একাধিক শব্দের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে তাকে অধিনাম বলা হয়। 'আলু' শব্দটি ফলের অধিনাম হিসেবে স্বীকৃতি পায় জার্মান ভাষায়
  • অভিধান ও থিসরাস:
    • অভিধান: শব্দের অর্থ বর্ণানুক্রমিকতার ভিত্তিতে সন্নিবেশিত হয় এবং শব্দগুলি প্রয়োগতত্ত্বের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়।
    • থিসরাস: সমার্থকতার ভিত্তিতে শব্দ সন্নিবেশিত থাকে। 'থিসরাস' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ রত্নাগার। প্রাচীন ভারতের 'অমরকোষ' থিসরাসটির লিখিত ভাষা সংস্কৃত। পিটার মার্ক রজেট তার থিসরাস অভিধান রচনা করেন ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে
  • ব্যঞ্জনা অর্থ: 'কলম' শব্দটির ব্যঞ্জনা অর্থ নেই।
  • অতিরিক্ত অর্থের ধারণা: এটি নৈর্ব্যক্তিক
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ)
ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা-প্রশাখা
  1. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে-
    সমকালীন ভাষায় গঠনরীতি নিয়ে.
  2. ভাষাবিজ্ঞানের গতি হল-
    আরোহমূলক.
  3. শৈলীবিজ্ঞানের নিরিখ হল-
    প্রয়োগনির্ভর.
  4. ভাষাবিজ্ঞান মানুষের কোন ভাষার চর্চা করে?
    মুখের ভাষার.
  5. "মানুষের মধ্যেই থাকে ভাষা শেখবার সামর্থ্য।”-বক্তা হলেন-
    নোয়াম চমস্কি.
  6. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন কে?
    স্যার উইলিয়াম জোন্স.
  7. সংস্কৃত, গ্রিক, লাতিন- ভাষাগুলির উৎপত্তির মূলে যে প্রধান ভাষা আছে তার নাম হল-
    ইন্দো-ইউরোপীয়.
  8. যাস্কের 'নিরুক্ত' থেকেই ভারতে কী রচনার সূত্রপাত?
    অভিধান.
  9. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল কখন?
    বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে.
  10. সমগ্রোত্রজ ভাষাগুলির মধ্যে তুলনা করে মূলভাষাকে পুনর্নির্মাণ করে কোন্ ভাষাবিজ্ঞান?
    তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান.
  11. রূপতত্ত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল-
    Morphology.
  12. স্যার উইলিয়াম জোন্স কত খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেন?
    ১৭৮৬ খ্রি..
  13. সাহিত্যের নান্দনিক দিকটি আলোচিত হয় কোন্ শাখায়?
    শৈলীবিজ্ঞান.
  14. Syntax-এর বাংলা প্রতিশব্দ হল-
    বাক্যতত্ত্ব.
  15. বিভিন্ন ধরনের ভাষার মধ্যে মিল খোঁজার জন্য ধারাবাহিক রূপান্তর আলোচনা করে কোন্ ভাষাবিজ্ঞান?
    ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান.
  16. ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় অভিধানকে কী বলা যায়?
    প্রয়োগগত বিভাগ.
  17. স্যার উইলিয়াম জোন্স যে চারটি ভাষার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন সেগুলি হল-
    সংস্কৃত, গ্রিক, লাতিন, ফারসি.
  18. 'আলু' শব্দটি ফলের অধিনাম হিসেবে স্বীকৃতি পায়-
    জার্মান ভাষায়.
  19. প্রাচীন ভারতের 'অমরকোষ' থিসরাসটির লিখিত ভাষা-
    সংস্কৃত.
  20. শৈলীবিচারে কোন্ প্রকরণটি ব্যবহৃত হয় না?
    বিবর্তন.
  21. উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষার বা উপভাষার যে বদল হয়, তাকে বলে-
    রেজিস্টার.
  22. প্রধানত কোন দেশে বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল?
    ইয়োরোপে.
  23. বর্ণনামূলক সমাজবিজ্ঞানের তৃতীয় মাত্রার নাম কী?
    উপলক্ষ্য.
  24. কোন্-টি সমাজভাষাবিজ্ঞানের শাখা নয়?
    ঐতিহাসিক.
  25. পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্ট-র মধ্য দিয়ে যে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে তা মূলত কোন ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়?
    ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান.
  26. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের চারটি শাখা হল-
    ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, শব্দার্থতত্ত্ব.
  27. পিটার মার্ক রজেট তার থিসরাস অভিধান রচনা করেন-
    ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে.
  28. অভিধান বোঝাতে 'Dictionarius' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
    জন গারল্যান্ড.
  29. 'Dictionary' শব্দটি প্রথম থমাস এলিয়েটের লাতিন ইংরেজি অভিধানে পাওয়া যায় কত খ্রিস্টাব্দে?
    ১৫৩৮ খ্রি..
  30. চমস্কির মতে প্রিপ্রোগ্রামড অবস্থায় থাকা 'সর্বজনীন ব্যাকরণ' মানুষের কোথায় থাকে?
    মস্তিষ্কে.
  31. প্রধানত মানসিক পশ্চাদপরতা নিয়ে আলোচনা করে কোন্ ভাষাবিজ্ঞান?
    মনোভাষাবিজ্ঞান.
  32. বলা, পড়া, লেখা ইত্যাদি কর্মে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে মস্তিষ্কের কোন্ গোলার্ধ?
    বাম গোলার্ধ.
  33. মানুষের স্মৃতি রোমন্থনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে মস্তিষ্কের কোন গোলার্ধ?
    ডান গোলার্ধ.
  34. স্যোসুরের মতে শৈলীর বিষয়টি কীসের আওতায় চলে আসে?
    'পারোল'-এর.
  35. স্যামুয়েল ওয়েসলি 'চিন্তার পোশাক' (The dress of thought) বলেছেন কোন বিষয়কে?
    ভাষারীতিকে.
  36. রচনার পরিণামী প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরি হলে যে নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসে পড়ে তাকে মিলিচ কী বলেছেন?
    আলংকারিক নির্বাচন.
  37. শৈলী বিচার করার ক্ষেত্রে যে প্রকরণগুলি রয়েছে, তার মধ্যে কোন দুটি পরস্পরের সম্পূরক?
    প্রমুখন ও বিসারণ.
  38. চরিত্রগুলির ভিন্ন ভিন্ন স্বরকে প্রতিষ্ঠা তার জটিল বিন্যাসে যে উপন্যাস বা মহাকাব্যের কথাবিশ্ব সৃষ্টি হয়, তাকে মিখাইল বাখতিন বলেছেন-
    বহুস্বরতা.
  39. 'Lexicography'-র বাংলা প্রতিশব্দ হল-
    অভিধান বিজ্ঞান.
  40. আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত কোন ভাষাবিজ্ঞানের চর্চা থেকে?
    তুলনামূলক.
  41. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানকে কী বলা হয়?
    অখণ্ড ভাষাবিজ্ঞান.
  42. সমাজবিজ্ঞানকে ভাষাবিজ্ঞানের অংশ বলে কে অভিহিত করেন?
    ট্রাডগিল.
  43. আদর্শ অভিধানে প্রতিটি entry বা শব্দের কত স্তর থাকবে?
    তিনটি.
  44. ভাষাবিজ্ঞান হল-
    ভাষার বিজ্ঞান
  45. ভাষাবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হল-
    ভাষা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত চর্চা
  46. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সম্পর্কে আলোচনার প্রথম ধাপ হল-
    তথ্যসংগ্রহ ও নথিভুক্তকরণ
  47. লেখা শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায়-
    পাঁচ-সাত হাজার বছর আগে
  48. ভাষাবিজ্ঞান মৌখিক ভাষাকে গুরুত্ব দেয় কারণ-
    মৌখিক ভাষায় সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলে
  49. ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখা হল-
    তিনটি
  50. বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে
    তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
  51. প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা বহু স্তর পেরিয়ে বাংলা ভাষার জন্ম দিয়েছে, এই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
    ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানে
  52. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত ঘটে
    ইউরোপে
  53. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে-
    সমকালীন ভাষার গঠনরীতি নিয়ে
  54. নির্দিষ্ট একটি ভাষার ধারাবাহিক কালগত বিবর্তন থাকে
    বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে
  55. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের মতে কোনো ভাষার আলোচনার প্রধান বিষয় ক-টি?
    চারটি
  56. বর্ণনামূলক সমাজভাষাবিজ্ঞানের তৃতীয় মাত্রা-
    উপলক্ষ্য
  57. ভাষার কেন্দ্রীয় চরিত্র, বিন্যাস এবং তার গঠনপ্রণালী আলোচিত হয় যে ভাষাবিজ্ঞানে তা হল-
    প্রধান ভাষাবিজ্ঞান
  58. বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অবদান বা প্রয়োগ যে ভাষাবিজ্ঞানের অন্যতম বিষয়, তা হল-
    ফলিত ভাষাবিজ্ঞান
  59. ভাষার সৃষ্টিতে, প্রয়োগে এবং সংযোগস্থাপনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে-
    মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ
  60. প্রধান ভাষাবিজ্ঞান ভাষার যে গঠনপ্রণালী ও কেন্দ্রীয় বিন্যাস আলোচনা করে তা ক-টি শাখায় বিভক্ত?
    পাঁচটি
  61. 'মস্তিষ্ক হল ভাষা শেখার ব্যবস্থা'-মন্তব্যটির প্রবস্তা হলেন-
    উইল
  62. বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনিগুলির উচ্চারণ আলোচিত হয় যেখানে, তা হল-
    ধ্বনিবিজ্ঞান
  63. কথা বলার সময় আমরা অবিচ্ছিন্নভাবে উচ্চারণ করি-
    বাক্য
  64. মূলধ্বনি বা স্বনিমের ধারণাটি যে-ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষরূপে প্রতিষ্ঠিত-
    ধ্বনিবিজ্ঞান
  65. অবিভাজ্য ধ্বনির মধ্যে পড়ে না-
    ব্যঞ্জনধ্বনি
  66. বাংলা উচ্চারণে অর্ধস্বরের সংখ্যা হল-
    চারটি
  67. নিম্ন-মধ্য, সম্মুখ, প্রসূত, অর্ধবিবৃত, তালব্য স্বরধ্বনি হল-
    অ্যা
  68. ধ্বনিবিজ্ঞানের হিসেবে উচ্চারণগতভাবে ' ' ধ্বনির যে-বৈশিষ্ট্যটি নেই-
    প্রসূততা
  69. 'র' ধ্বনিটি হল-
    কম্পিত ধ্বনি
  70. উষ্মধ্বনি 'স্' ব্যঞ্জনধ্বনিটি হল-
    দন্ত্যমূলীয়
  71. 'আলতা' শব্দের 'ল্' ব্যঞ্জনটি উচ্চারণের সময় জিভ ঠেকে-
    দন্তে
  72. একাধিক সহধ্বনির বাস্তব উচ্চারণের আড়ালে একটি করে যে-ধ্বনিমূল থাকে, তা-
    কাল্পনিক
  73. অর্থের পার্থক্য করতে পারে না-
    সহধ্বনি
  74. বাংলা ই, উ ও, আ স্বরধ্বনি উচ্চারিত হতে পারে-
    আদিতে, মধ্যে ও অন্ত্যে
  75. ভাষায় উচ্চারিত ধ্বনিমূল ও সহধ্বনি শনাক্ত করার কাজ-
    ধ্বনিবিজ্ঞানের
  76. শব্দের উচ্চারণ ঠিক রাখে-
    ধ্বনিমূল
ধ্বনিতত্ত্ব
  1. বাংলায় আদর্শ স্বরধ্বনির সংখ্যা কত?
    ৭টি.
  2. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
    ৭টি.
  3. পশ্চাৎ দিকের স্বরধ্বনি কোনটি?
    আ.
  4. ধ্বনি বিষয়ক বিশ্লেষণে 'অ্যা' ধ্বনিটি হলো-
    নিম্ন-মধ্য, সম্মুখ, প্রসূত, অর্ধবিবৃত, তালব্য স্বরধ্বনি.
  5. 'প্' ধ্বনির যে বৈশিষ্ট্যটি উচ্চারণগতভাবে ধ্বনি বিষয়ক বিশ্লেষণে থাকে না-
    প্রসূততা.
  6. 'র' ধ্বনিকে কী বলা হয়?
    কম্পিত ধ্বনি.
  7. উষ্মধ্বনি 'স্' ব্যঞ্জনধ্বনিটি কী ধরনের?
    দন্ত্যমূলীয়.
  8. 'আলতা' শব্দের 'ল' ব্যঞ্জনটি বলার সময় জিভ কোথায় লাগে?
    দন্তে.
  9. অনেক দলযুক্ত কোনো শব্দের মধ্যে কোনো বিশেষ দলের উপর জোর দিলে তাকে কী বলে?
    শ্বাসাঘাত.
  10. বাংলা ভাষার শব্দে দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি মিলে যে যুক্তধ্বনি তৈরি হয় তার সংখ্যা কয়টি?
    ২৮টি.
  11. তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে গঠিত বাংলার গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা-
    ২টি (স্ত্রী, স্পৃহা).
  12. কোনো ধ্বনির উচ্চারণের ভিন্নতাকে কী বলে?
    স্বতন্ত্র বৈচিত্র্য.
  13. জিহ্বার সামনের অংশ যখন দাঁতের গোড়ার নিচের দিকে আসে, তখন যে ধ্বনি তৈরি হয়-
    তাড়িত ধ্বনি.
  14. 'ল' ধ্বনিটি কী ধরনের?
    পার্শ্বিক ধ্বনি.
  15. ধ্বনি তৈরির স্থান ও উচ্চারণের প্রধান অংশগুলো হলো-
    মুখবিবর, জিহ্বা ও ওষ্ঠ.
  16. যে ধ্বনি বলার সময় স্বরতন্ত্রী কাঁপে না তাকে কী বলে?
    অঘোষধ্বনি.
  17. জিহ্বার গোড়া থেকে যে ধ্বনিগুলো উচ্চারিত হয় তার নাম কী?
    কণ্ঠ্যধ্বনি.
  18. 'ঐ' যুগ্ম স্বরধ্বনিটিকে ভাঙলে নিচের কোনটি পাওয়া যায়?
    এ + ই.
  19. বাংলা বর্ণমালায় ফলা কয়টি?
    ছয়টি (ম, য, র, ল, ব, ন).
  20. 'আত্মীয়' শব্দের যুক্ত ব্যঞ্জনে কোন দুটি বর্ণ যুক্ত আছে?
    ত্ + ম.
  21. বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
    ৭টি.
  22. কোন ধ্বনিগুলো বলার সময় মুখের কোথাও বাধা পায় না?
    স্বরধ্বনি.
  23. ধ্বনির চিহ্নকে কী বলা হয়?
    বর্ণ.
  24. যে ধ্বনি বলার সময় বাতাস নাক ও মুখ দিয়ে একসঙ্গে বের হয়-
    নাসিক্য ধ্বনি (আনুনাসিক).
  25. কোনগুলো মৌলিক স্বরধ্বনি?
    অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা.
  26. আ-কে কী ধ্বনি বলে?
    বিবৃত স্বরধ্বনি (বা পশ্চাৎ স্বরধ্বনি).
  27. কোন ধ্বনি বলার সময় জিভ সাধারণত শুয়ে থাকে?
    'আ' ধ্বনি.
  28. বাংলায় কোন কোন বর্ণের লেখায় ধ্বনির মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখা যায় না?
    ঙ এবং ং / ত এবং ৎ / ন এবং ণ (প্রশ্নের উপর নির্ভর করে).
  29. য, র, ল, ব - এই চারটি বর্ণকে কী বলে?
    অন্তঃস্থ বর্ণ.
  30. নিচের কোন ক্ষেত্রে 'এ' ধ্বনি বিকৃত হয়?
    'ই' কার বা 'উ' কার পরে থাকলে (যেমন: দেশি > দিশি).
  31. ইংরেজি, আরবি ও ফারসি ভাষায় ছোট ও বড় উচ্চারণে ঠিকমতো না করলে অর্থের কী হয়?
    বদলে যায়.
  32. পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে দ্রুত বলার সময় তা একটি মিলিত স্বরধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয়—এরূপ স্বরধ্বনিকে কী বলে?
    যৌগিক স্বর.
  33. বলার সময় মুখ খোলা থাকে বলে প্রধানত আ-কে কী ধ্বনি বলা হয়?
    বিবৃত ধ্বনি.
  34. ক, খ, চ, ছ - এগুলো কী ধ্বনি?
    অঘোষ ধ্বনি.
  35. কতটি ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দের শুরুতে কখনোই বসে না?
    ৯টি.
  36. কোনটি মাঝখানে থাকা পিছনের স্বরধ্বনি?
    ও.
  37. কোন ধ্বনিটির উচ্চারণ হালকা ও নরম হবে?
    (এটি সুনির্দিষ্ট তথ্যের উপর নির্ভরশীল, তবে সাধারণত অল্পপ্রাণ বা অঘোষ ধ্বনি).
  38. ভাষাবিজ্ঞানে 'ধ্বনি' কথার অর্থ হল-
    বাধ্বনি.
  39. 'ধ্বনি' হল ভাষার-
    উচ্চারিত রূপ.
  40. ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হল-
    ভাষার ধ্বনিস্তর নিয়ে আলোচনা.
  41. খণ্ডধ্বনি বলতে বোঝায়-
    ধ্বনির পৃথক খন্ড একক.
  42. খণ্ডধ্বনির অপর নাম-
    বিভাজ্য ধ্বনি.
  43. বাধ্বনি হল-
    ভাষার অর্থহীন ক্ষুদ্রতম একক.
  44. ধ্বনি ও বর্ণের পারস্পরিক সম্পর্ক-
    খুব জটিল.
  45. ভাষাবিজ্ঞানের ক-টি শাখায় বাধ্বনি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
    দুটি.
  46. ধ্বনি উচ্চারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে-
    জিহ্বা.
  47. মহাপ্রাণ ধ্বনির একটি উদাহরণ হল-
    খ.
  48. যৌগিক স্বরধ্বনির একটি উদাহরণ হল-
    ঐ.
  49. শ, ষ, স-ধ্বনি তিনটিকে বলা হয়-
    উষ্মধ্বনি.
  50. 'লাল' শব্দের দুটি 'ল' হল-
    দন্তমূলীয় পার্শ্বিক ব্যঞ্জন.
  51. 'সুরতরক্ষা' একপ্রকার-
    অবিভাজ্য ধ্বনি.
  52. দলের উচ্চারণে স্বরধ্বনির দৈর্ঘাকে বলে-
    দৈর্ঘ্য.
  53. স্বরধ্বনির সঙ্গে অর্ধস্বরের সমাবেশে তৈরি হয়-
    দ্বিস্বরধ্বনি.
শব্দার্থতত্ত্ব
  1. শব্দার্থতত্ত্ব হলো ভাষাবিজ্ঞানের-
    একটি শাখা.
  2. শব্দার্থতত্ত্ব আলোচনা করে-
    শব্দের অর্থ নিয়ে.
  3. শব্দার্থের প্রধানত কয়টি দিক আছে?
    দুটি.
  4. শব্দের অবিভাজ্য অর্থের ধারণা দিয়েছেন-
    জে. আর. ফার্থ.
  5. ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় শব্দের অর্থ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়, তাকে বলে-
    শব্দার্থতত্ত্ব.
  6. অভিধানে শব্দের অর্থ সন্নিবেশিত হয়-
    বর্ণানুক্রমিকতার ভিত্তিতে.
  7. সমার্থকতার ভিত্তিতে শব্দ সন্নিবেশিত থাকে-
    থিসরাসে.
  8. অভিধানে শব্দগুলি নির্বাচিত হয়-
    প্রয়োগতত্ত্বের ভিত্তিতে.
  9. বিপরীতার্থক শব্দগঠনে অনেকসময় শব্দের আগে যুক্ত হয়-
    নেতিবাচক উপসর্গ.
  10. ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তিতে যার মধ্যে একাধিক শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাকে বলে-
    অধিনাম.
  11. 'আলু' শব্দটি ফলের অধিনাম হিসেবে স্বীকৃতি পায়-
    জার্মান ভাষায়.
  12. 'থিসরাস' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-
    রত্নাগার.
  13. প্রাচীন ভারতের 'অমরকোষ' থিসরাসটির লিখিত ভাষা-
    সংস্কৃত.
  14. পিটার মার্ক রজেট তার থিসরাস অভিধান রচনা করেন-
    ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে.
  15. অতিরিক্ত অর্থের ধারণাটি-
    নৈর্ব্যক্তিক.
  16. শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব অনুযায়ী, অর্থ হলো-
    কতকগুলো উপাদানের সমষ্টি.
  17. শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন-
    ডোনাল্ড ডেভিডসন.
  18. একটি শব্দের মধ্যে এক বা একাধিক শব্দের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে তাকে বলা হয়-
    অর্থান্তরভুক্তি.
  19. 'শ্বাপদ' শব্দটির ক্ষেত্রে কী ঘটেছে?
    অর্থসংকোচন.
শূন্যস্থান পূরণ করো
ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা-প্রশাখা
  1. যখন এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়, তখন তা হয় _____ অভিধান।
    দ্বি-ভাষিক.
  2. প্রমুখন ও বিসারণের প্রযুক্তি দুটি পরস্পরের ______________।
    সম্পূরক.
  3. ভাষা নিয়ে ______________ চর্চাই হল ভাষাবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।
    বিজ্ঞানসম্মত.
  4. ধ্বনিবিজ্ঞান আলোচনা করে কীভাবে ______________ সাহায্যে ধ্বনিসমষ্টি উচ্চারিত হয়।
    বাগ্যন্ত্রের.
  5. ______________ ভাষাকেই ভাষাবিজ্ঞানীরা আসল ভাষা বলে মানেন।
    মুখের.
  6. যে উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষার বা উপভাষার বদল হয়, তাকে সমাজবিজ্ঞানীরা ______________ বলেন।
    রেজিস্টার.
  7. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন ______________।
    উইলিয়াম জোন্স.
  8. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সমগোত্রজ ভাষাগুলির মধ্যে তুলনা করে এবং তাদের উৎসভাষাকে বা মূলভাষাকে ______________ করে।
    পুনর্নির্মাণ.
  9. মনোবিজ্ঞান সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে ______________ ভাষার ক্ষেত্রে।
    শিশুর.
  10. জোন্স সংস্কৃত, গ্রিক, ______________ ও ফারসি ভাষার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন।
    লাতিন.
  11. শৈলীবিজ্ঞানের নিরিখ হল ______________ নির্ভর।
    প্রয়োগ.
  12. ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে যে মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে তা ভাষাগুলির মধ্যে ধারাবাহিক ______________ আলোচনা করে।
    রূপান্তর.
  13. কোনো ব্যক্তি-বিশেষ উপভাষার যে বিশেষ রীতি ব্যবহার করে, তাকে ______________ বলে।
    কোড.
  14. প্রধান ভাষাবিজ্ঞান ভাষার যে গঠন প্রণালী বা কেন্দ্রীয় বিন্যাস আলোচনা করে, তা প্রধানত ______________ শাখার হয়।
    পাঁচটি.
  15. ভাষার সৃষ্টিতে, প্রয়োগে এবং সংযোগ স্থাপনে মস্তিষ্কের ______________ গোলার্ধ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
    বাম.
  16. পারিবারিক সম্পর্কের দিক থেকে ইংরেজি ভাষার তুলনায় বাংলা ভাষার শব্দ সংখ্যা ______________।
    অনেক কম.
  17. ১৫৩৮ সালে ইংরেজি 'Dictionary' শব্দটি পাওয়া যায় স্যার থমাস এলিয়েটের ______________ অভিধানে।
    লাতিন-ইংরেজি.
ধ্বনিতত্ত্ব
শূন্যস্থান পূরণ করো
  1. একক বাধ্বনি হলো ভাষার অর্থহীন এবং ______________ সবচেয়ে ছোট অংশ।
    ক্ষুদ্রতম.
  2. ______________ ধ্বনির উচ্চারণ, শোনা ও ধ্বনিতরঙ্গের বিশ্লেষণ করে।
    ধ্বনিবিজ্ঞান.
  3. মুখের সাধারণ বাংলার স্বরধ্বনি ______________ টি।
    ৭টি.
  4. প্রতিটি ধ্বনিমূল একটি ধ্বনি পরিবার, সেই পরিবারের সদস্য ______________।
    সহধ্বনি.
  5. ধ্বনিমূল একটি ভাবনা, যার ______________ রূপ হলো সহধ্বনি।
    বাস্তব.
  6. উচ্চারণের স্বাধীনতা অনুযায়ী যেমন খুশি উচ্চারণের ভিন্নতাকে ______________ বলে।
    মুক্ত বৈচিত্র্য.
  7. শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব অনুযায়ী, অর্থ হলো-
    কতকগুলো উপাদানের সমষ্টি.
  8. শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন-
    ডোনাল্ড ডেভিডসন.
  9. একটি শব্দের মধ্যে এক বা একাধিক শব্দের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে তাকে বলা হয়-
    অর্থান্তরভুক্তি.
  10. 'শ্বাপদ' শব্দটির ক্ষেত্রে কী ঘটেছে?
    অর্থসংকোচন.
  11. শব্দার্থের প্রথম ভাগটির নাম-
    সাধারণ অর্থ.
  12. সময়ের সঙ্গে ভাষায় অর্থের পরিবর্তনের আলোচনা করে-
    ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব.
  13. শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্ব মূলত ______ এর তাৎপর্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।
    পরিপ্রেক্ষিত.
  14. কেবলমাত্র শব্দের অর্থের যোগফল বাক্যের অর্থ নয়, এই তত্ত্ব হল-
    বিষয়মূলক তত্ত্ব.
  15. 'প্রদীপ' শব্দের অর্থের পরিবর্তন শব্দার্থের-
    উৎকর্ষ.
  16. বর্তমানে ব্যবহৃত 'অনুশীলন' শব্দের অর্থ এবং প্রাচীন অর্থ থেকে কোন ধারাটি সূচিত হয়েছে?
    শব্দার্থের অবনতি.
  17. শব্দার্থের অবনতির একটি উদাহরণ হল-
    জ্যাঠা.
  18. যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তু যা নির্দেশ করে, সেটি তার-
    নির্দেশন.
  19. অভিধানে শব্দের অর্থ সন্নিবেশিত হয়-
    বর্ণানুক্রমিকতার ভিত্তিতে.
  20. আভিধানিক অর্থকে যা বলা যায়-
    সাধারণ অর্থ.
  21. বাক্যের অর্থের আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ভাষাবিজ্ঞানের শাখাটির নাম-
    শব্দার্থতত্ত্ব.
  22. কোন শব্দটির ব্যঞ্জনা অর্থ নেই?
    কলম.
  23. শব্দার্থের যে তত্ত্বে বলা হয়েছে "প্রসঙ্গের বাইরে ভাষার কোনো অংশের কোনো অর্থ নেই"-
    প্রয়োগমূলক তত্ত্বে.
  24. 'দারুণ' শব্দের আদি অর্থ-
    কাষ্ঠনির্মিত.
  25. 'উপবাস' শব্দটির অর্থ 'নিকটে বাস' বর্তমান অর্থ 'অনাহার' এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের যে ধারায় পড়ে-
    অর্থের রূপান্তর.
শব্দার্থতত্ত্ব
শূন্যস্থান পূরণ করো
  1. শব্দার্থকে দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথমটিকে বলা হয় সাধারণ অর্থ এবং দ্বিতীয়টি হল ______________।
    নির্দেশন.
  2. সময়ের সঙ্গে ভাষায় অর্থের পরিবর্তনের আলোচনা করে ______________।
    ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব.
  3. শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্ব মূলত ______________ এর তাৎপর্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।
    পরিপ্রেক্ষিত.
  4. কেবলমাত্র শব্দের অর্থের যোগফল বাক্যের অর্থ নয়, এই তত্ত্ব হল ______________ তত্ত্ব।
    বিষয়মূলক.
  5. 'প্রদীপ' শব্দের অর্থের পরিবর্তন শব্দার্থের ______________।
    উৎকর্ষ.