আদরিনী - প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় MCQ CLASS 12 Semester 3

আদরিণী: প্রশ্ন-উত্তর ও আলোচনা



লেখক পরিচিতি

"আদরিণী" গল্পটির রচয়িতা হলেন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছদ্মনাম ছিল শ্রীমতী রাধামণি দেবী। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প "আদরিণী" বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। এই গল্পটি তাঁর "গল্পাঞ্জলি" গ্রন্থের অংশ। প্রথমবার এটি "সাহিত্য" পত্রিকায় ভাদ্র, ১৩২০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি মোট সাতটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। লেখক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে তাঁর বৈচিত্র্যময় গল্পের জন্য অনেকে "বাংলার মপাসাঁ" নামেও অভিহিত করেন। এই গল্পে লেখক বাস্তবতার পটভূমিতে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনের সত্যকে তুলে ধরেছেন।

  • পিতার নাম: জয়গোপাল মুখোপাধ্যায়
  • মায়ের নাম: কাদম্বরী দেবী
  • গল্পগ্রন্থ: গল্পাঞ্জলি
  • পুরস্কার: কুন্তলীন পুরস্কার
  • পেশা: জনপ্রিয় ছোট-গল্পকার ও ঔপন্যাসিক
  • জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৩
  • মৃত্যু: ৫ এপ্রিল ১৯৩২ (বয়স ৫৯)
  • গল্পের ধরন: ছোটোগল্প
  • পরিচ্ছেদ সংখ্যা: ৭টি
  • নামকরণ: চরিত্রকেন্দ্রিক
  • কেন্দ্রীয় চরিত্র: জয়রাম মুখোপাধ্যায়

গল্পের সারাংশ

"আদরিণী" গল্পটি মূলত জয়রাম মুখোপাধ্যায় এবং তার পোষা হাতি আদরিণীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। জয়রাম মুখোপাধ্যায় পীরগঞ্জের বাবুদের এস্টেটের কুড়ি বছরের বাঁধা মোক্তার। তাঁর তীব্র অভিমান হত অতি সামান্য কারণে। একসময় তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, কিন্তু পরে তিনি পাকা দালানকোঠা এবং কোম্পানির কাগজ কিনে প্রচুর সম্পত্তি করেন। তাঁর মেজাজ কিছুটা রুক্ষ বা বদরাগী ছিল। যৌবনকালে তিনি বদমেজাজি ছিলেন।

গল্পে দেখা যায় জয়রামবাবুর বাড়িতে একটি হাতি ছিল যার নাম আদরিণী। জয়রামবাবু আদরিণীকে উমাচরণ লাহিড়ীর কাছ থেকে ২০০০ টাকায় কিনেছিলেন। তিনি আদরিণীকে খুব ভালোবাসতেন।

ব্যবসা মন্দা হওয়ায় জয়রাম মুখোপাধ্যায়কে আর্থিক কষ্টে পড়তে হয়। একজন পেশকার তাঁকে হাতি বিক্রি করে দিতে পরামর্শ দেন কারণ হাতি বিক্রি করলে মাসে ত্রিশ-চল্লিশ টাকা বেঁচে যাবে। তিনি প্রথমে কষ্ট পেলেও পরে মেনে নেন। হস্তী ভাড়ার জন্য তিনি বিজ্ঞাপন মুসাবিদা করেছিলেন। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল "হস্তী ভাড়ার বিজ্ঞাপন"। এটি চৌধুরী পাড়ায় জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের ঠিকানায় ছিল। আদরিণীর ভাড়া মাহুতের খোরাকি বাদ দিয়ে চার টাকা আয় হত। মাঝে মাঝে হাতি ভাড়া হলেও মাসে ১৫-২০ টাকার বেশি আয় হত না। আদরিণী মাসে সর্বোচ্চ পাঁচ বার ভাড়া খাটত।

পরে হাতি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বামুনহাটের মেলায় হাতি বিক্রি করা হবে বলে ঠিক হয়। এই মেলা চৈত্র সংক্রান্তিতে হয়। বামুনহাটের মেলা চৈত্র সংক্রান্তির প্রায় চৌদ্দো দিন আগে শুরু হয়। মেলায় হাতি বিক্রি করলে এক হাজার টাকা লাভ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। আদরিণীকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় মাহুতের সঙ্গে মেজো ছেলে যাবে ঠিক হয়েছিল। আদরিণী জানতে পেরেছিল যে সে আর এই বাড়িতে ফিরবে না। আদরিণীর বিদায়ের সময় জয়রাম মোক্তার তার জন্য সন্দেশ ও রসগোল্লা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বামুনহাটের মেলা ভেঙে গেলে আদরিণী মস্ মস্ করে ঘরে ফিরে আসে। পরে তাকে রসুলগঞ্জের হাটে পাঠানোর পরামর্শ হয়। রসুলগঞ্জের মেলা বামুনহাটের মেলার দশ ক্রোশ উত্তরে বসে। বাড়ি থেকে সাত ক্রোশ দূরে আদরিণী অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে। আদরিণী মারা যাওয়ার ষাট দিন পরে জয়রাম মোক্তারের মৃত্যু হয়েছিল।

শব্দার্থ (Word Meanings)

গল্পটিতে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ এবং তাদের অর্থ নিচে দেওয়া হলো:

  • জুনিয়ার: কনিষ্ঠ ।
  • উকিল: আইনজীবী ।
  • মোক্তার: মোকদ্দমা চালানোর জন্য নিযুক্ত প্রতিনিধি; অপেক্ষাকৃত নিম্নশ্রেণিভুক্ত আইনজীবী ।
  • বৈঠকখানা: বাড়ির বাইরে বসার ঘর; কাছারি ঘর ।
  • আগন্তুক: অপরিচিত ব্যক্তি; নবাগত ব্যক্তি; হঠাৎ উপস্থিত ব্যক্তি ।
  • এস্টেট: জমিদারি; তালুক ।
  • তীব্র: কড়া; প্রখর; দুঃসহ; ঝাঁজালো; অসহ্য ।
  • কুসুম: ফুল; পুষ্প ।
  • কোমল: নরম; মৃদু ।
  • খাতির: আদর; সম্মান ।
  • উপবেশন: বসা; আসন গ্রহণ করা ।
  • কাছারি: বিচারালয়; বাদী-বিবাদীর বিবাদ মেটাবার স্থান বা কার্যালয় ।
  • স্মিত: মৃদু হাস্য; হাস্যময়; উজ্জ্বল; উদ্ভাসিত ।
  • মক্কেল: উকিলের সাহায্যপ্রার্থী ।
  • নাগাদ: পর্যন্ত; অবধি ।
  • অভ্যর্থনা: সংবর্ধনা; সাদর আপ্যায়ন ।
  • থেলো: বড়ো খোলবিশিষ্ট ।
  • পেয়ালী: পানপাত্র; পাত্রবিশেষ ।
  • মুঝে: আমাকে ।
  • প্রভাত: প্রাতঃকাল; উষাকাল ।
  • আহ্নিক: প্রত্যহ করণীয় পূজা-আর্চা; প্রতিদিনের ধর্মকর্ম ।
  • সমাপন: সম্পূর্ণকরণ; অবসান; সমাপ্তি ।
  • জলযোগ: জলখাবার ।
  • প্রতাপান্বিত: পরাক্রমশালী; অতিশয় তেজস্বী ।
  • কথোপকথন: কথাবার্তা; আলাপ-আলোচনা ।
  • প্রবৃত্ত: নিযুক্ত; প্রবিষ্ট; আবদ্ধ ।
  • পঞ্চাশৎ: ৫০ সংখ্যা ।
  • গৌর: উজ্জ্বল বর্ণযুক্ত; গোরা ।
  • পদব্রজে: পদযোগে গমন ।
  • বদরাগি: একটুতেই ক্রুদ্ধ হয় এমন; রগচটা ।
  • হুকুম: আজ্ঞা; আদেশ-নির্দেশ ।
  • সমবেত: সম্মিলিত; যৌথ ।
  • স্ফীত: ফুলে বা ফেঁপে উঠেছে এমন; বর্ধিত; সমৃদ্ধ ।
  • কম্পিত: শিহরিত; কম্পনযুক্ত ।
  • দ্রুত: শীঘ্র; তাড়াতাড়ি ।
  • হস্তী: হাতি ।
  • বিক্রয়: বেচা; বিক্রি ।
  • প্রহর: দিনের বিভাগ (আট প্রহরে একদিন) ।
  • বিস্তর: বহু; অনেক; প্রচুর ।
  • সওয়ারি: যানবাহনের যাত্রী; আরোহী; অশ্বারোহী ।
  • রসিদ: প্রাপ্তিস্বীকারসূচক পত্র; যে-কোনো জিনিসের প্রাপ্তি নিদর্শন ।
  • প্রস্থান: নিষ্ক্রমণ; গমন ।
  • অশিষ্ট: অবিনীত; অভদ্র; দুরন্ত; অসভ্য ।
  • ক্রুদ্ধ: রাগান্বিত; রুষ্ট ।
  • বহিষ্কৃত: দূরীকৃত; নির্বাসিত ।
  • অন্তঃপুর: অন্দরমহল ।
  • বিপত্নীক: মৃতদার; স্ত্রী মারা গেছে এমন ।
  • জ্যেষ্ঠা: অগ্রজা; প্রবীণা ।
  • রঞ্জিত: রঞ্জন করা হয়েছে এমন ।
  • কদলী: কলা ।
  • ভোজন: আহার; ভোজ; আহার্য ।
  • বাহুল্য: আধিক্য; বহুলতা; অনাবশ্যকতা ।
  • আরোহণ: ঊর্ধ্বে গমন; উপরে ওঠা ।
  • দৃষ্টিগোচর: দেখা যায় এমন ।
  • রাজসমীপে: রাজার সামনে ।
  • বিনীত: বিনম্র; সংযত; শান্ত ।
  • বিস্মিত: চমৎকৃত; অবাক ।
  • অধিকতর: অপেক্ষাকৃত বেশি ।
  • শ্লেষ: প্রচ্ছন্ন; বিদ্রূপ ।
  • মৃদু: কোমল; নরম ।
  • প্রতিপালন: রক্ষণাবেক্ষণ; রক্ষণ; লালনপালন ।
  • ক্ষোভ: আঘাত; মনস্তাপ ।
  • সুনিদ্রা: গাঢ় ঘুম ।
  • শিথিল: আলগা ।
  • উপার্জন: উপায়; আয়; রোজগার ।
  • কনিষ্ঠ: অনুজ; সবচেয়ে ছোটো ।
  • অনুরাগ: আসক্তি; প্রীতি; সোহাগ; আবেগ; চিরন্তন প্রেম ।
  • প্রতিপক্ষ: বিপক্ষ; প্রতিদ্বন্দ্বী; শত্রুপক্ষ ।
  • তর্জমা: অনুবাদ; ভাষান্তর ।
  • নিষ্ফল: ফলবর্জিত; বিফল; ব্যর্থ ।
  • পদবাচ্য: অভিধেয়; উল্লেখ করার মতো ।
  • নির্বাহ: সম্পাদন; নিষ্পত্তি ।
  • অব্যহতি: নিস্তার; মুক্তি; রেহাই; পরিত্রাণ; নিষ্কৃতি ।
  • পেস্কার: বিচারকের সম্মুখে যে কর্মচারী কাগজপত্র উপস্থাপিত করেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে ।
  • প্রশংসা: সুখ্যাতি; গুণকীর্তন; সাধুবাদ ।
  • কায়ক্লেশ: শারীরিক শ্রম বা কষ্ট ।
  • সঙ্কুলান: পর্যাপ্ত; সম্পূর্ণ কুলিয়ে যায় এমন অবস্থা ।
  • মাহুত: হাতির চালাক ।
  • কিজিৎ: অঙ্ক সামান্য; কম ।
  • ডাগর: উৎকৃষ্ট; বড়ো ।
  • নির্লিপ্ত: সাজবহীন; আসক্তিহীন; উদাসীন ।
  • সংস্থান: জোগান; বন্দোবস্ত ।
  • ক্ষীণ: শীর্ণ; ক্ষয়িত; কৃশ ।
  • খদ্দের: ক্রেতা; আহক ।
  • জমজমাট: সুসংহত; সরগরম ।
  • প্রত্যুষ: প্রভাত; উষা; ভোর ।
  • গাত্রোত্থান: শয্যাত্যাগ; শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ানো; গা তোলা ।
  • মূলধন: ব্যবসায় ইত্যাদিতে খাটাবার জন্য পুঁজি ।
  • পৌত্রী: নাতনি; পুত্রের কন্যা ।
  • ফরাস: মেঝে বা তক্তপোশে পাতবার মোটা আস্তরণ বিশেষ ।
  • ব্যল্গুন: তরকারি; রাঁধা সবজি ।
  • আহার: ভোজন; খাদ্যগ্রহণ ।
  • পাকা: পক্ষ; পরিণত হওয়া ।
  • উপযুক্ত: যথাযোগ্য; উচিত; ন্যায্য; যোগ্য ।
  • খরিদ্দার: ক্রেতা ।
  • রোগা: বুণ; কৃশ; দুর্বল ।
  • ভূমি: ভূপৃষ্ঠ; জমি ।
  • ব্যাপী: ব্যাপ্তিশীল; প্রসারী ।
  • পরামর্শ: আলোচনা; বিচারবিবেচনা ।
  • সম্ভাষণ: অভিভাষণ; সম্বোধন ।
  • অনাদর: উপেক্ষা; অসম্মান; তাচ্ছিল্য ।
  • অন্তর্যামী: যিনি অন্তরের বা মনের সব কথা জানেন ।
  • অভিমান: প্রিয়জনের রুঢ় ব্যবহারে বেদনাবোধ ।
  • চক্ষুস্থির: অত্যধিক বিস্ময়জনিত হতবুদ্ধিতা ।
  • ভগ্নকন্ঠ: বিকৃত স্বর; গলার স্বর বিকৃত হয়েছে এমন ।
  • উদ্বেল: উচ্ছলিত ।
  • দ্বাদশ: ১২ সংখ্যক ।
  • আরোগ্যলাভ: রোগমুক্তি; নিরাময় ।
  • অন্ন সংস্থান: জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা ।
  • স জল: জলপূর্ণ; আর্দ্র; ভেজা ।
  • মামুলি: অতিসাধারণ; অকিঞ্চিৎকর ।
  • পীড়িত: রোগগ্রস্ত; অসুস্থ; ক্লেশপ্রাপ্ত ।
  • পার্শ্বে: পাশে; সমীপ; নিকট ।
  • অত্যন্ত: খুব বেশি; অতিশয় ।
  • বেদনা: ব্যথা; দুঃখ; মনস্তাপ ।
  • শবদেহ: মৃতদেহ; প্রাণহীন শরীর ।
  • প্রোথিত: ভূ-নিহিত ।
  • বন্দোবস্ত: আয়োজন ।
  • অবিলম্বে: বিলম্বহীন; তাড়াতাড়ি ।
  • আবশ্যক: অবশ্যকরণীয় ।
  • পায়চারি: পদচারণ; ধীরে পা ফেলে স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ ।
  • বিশাল: বৃহৎ ।
  • নিশ্চল: স্থির; অচঞ্চল; অচল ।
  • নিস্পন্দ: স্পন্দনশূন্য; স্থির; অসাড়; নিঃশেষ ।
  • বারম্বার: পুনঃপুন ।
  • জীবিত: জীবন্ত ।

ফ্যাক্ট ফাইল – এক নজরে

গল্প সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

  • গল্পের রচয়িতা: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
  • ছদ্মনাম: শ্রীমতী রাধামণি দেবী
  • পিতার নাম- জয়গোপাল মুখোপাধ্যায়
  • মায়ের নাম - কাদম্বরী দেবী
  • গল্পগ্রন্থ: গল্পাঞ্জলি
  • পুরস্কার - কুন্তলীন পুরস্কার
  • পেশা : জনপ্রিয় ছোট-গল্পকার ও ঔপন্যাসিক
  • জন্ম : ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৩
  • মৃত্যু : ৫ এপ্রিল ১৯৩২ (বয়স ৫৯)
  • গল্পের ধরন: ছোটোগল্প
  • পরিচ্ছেদ সংখ্যা: ৭টি
  • নামকরণ :চরিত্রকেন্দ্রিক
  • কেন্দ্রীয় চরিত্র: জয়রাম মুখোপাধ্যায়
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের পেশা: মোক্তার
  • বাঁধা মোক্তার ছিলেন: পীরগঞ্জের বাবুদের এস্টেটের
  • মোক্তারি করার সময়কাল: ২০ বছর
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের মেজাজ: কোমল ও স্নেহপ্রবণ হইলেও কিছুটা চড়া বা রুক্ষ
  • যৌবনকালের মেজাজ: বদমেজাজি
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বয়স - পঞ্চাশ পেরিয়েছে
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের মাথার সামনে - টাক আছে
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি ছিল - বাংলাদেশের যশোহর জেলায়
  • জয়রামবাবু অত্যাচারিত, উৎপীড়িত গরিব লোকের মোকদ্দমা লড়তেন - বিনা পারিশ্রমিকে
  • গাই গরুর নাম: মঙ্গলা
  • পোষা হাতির নাম: আদরিণী
  • আদরিণীকে কেনা হয়েছিল: উমাচরণ লাহিড়ীর কাছ থেকে
  • আদরিণীর কেনা দাম: ২০০০ টাকা
  • আদালত অবমাননার জরিমানা: পাঁচ টাকা
  • জরিমানা রহিত করতে খরচ: ১৭০০ টাকা
  • রবিবার বিকেলে খেলা হত: তাস
  • আদরিণীর খাওয়ার জন্য আনা হত: কলা গাছ
  • চৌধুরী বাড়ি থেকে হাতি পাওয়া গেল না, খবর নিয়ে এল - একজন চাকর
  • মহারাজা আসার জন্য বলেছিলেন: গোরুর গাড়িতে
  • দ্রুতগামী বলদের অধিকারী: ইদামদ্দি শেখ
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের পুত্র সংখ্যা: তিনটি
  • কলকাতায় পড়ত: ছোটো ছেলে
  • ছোটো ছেলের ফেল করা পরীক্ষা: বিএ
  • অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন: বড়োবউ ও মেজোবউ
  • জ্যেষ্ঠা পৌত্রীর নাম: কল্যাণী
  • কল্যাণীর বয়স: ১১ বছরের বেশি
  • বড়ো ছেলে বাজাত: ফুলুট
  • কল্যাণীর বিবাহের সম্ভাব্য খরচ: আড়াই হাজার টাকা
  • কল্যাণীর বিবাহের স্থিরীকৃত দিন: ১০ জ্যৈষ্ঠ
  • কল্যাণীর আশীর্বাদ হবে: বৈশাখ মাস পড়লে
  • হাতি বিক্রি করলে মাসে বাঁচবে: ত্রিশ-চল্লিশ টাকা
  • বিজ্ঞাপনের শিরোনাম: হস্তী ভাড়ার বিজ্ঞাপন
  • বিজ্ঞাপনে ঠিকানা: চৌধুরী পাড়া
  • আদরিণীর ভাড়া থেকে আয় (মাহুতের খোরাকি বাদ দিয়ে): চার টাকা
  • মাসিক সর্বোচ্চ আয়: ১৫-২০ টাকা
  • মাসে সর্বোচ্চ ভাড়া খাটত: পাঁচ বার
  • ব্যাবসা ছাড়িয়া জয়রামবাবুর সংসার চলছিল - কায়ক্লেশে
  • হাতি বিক্রির স্থান (প্রথম প্রস্তাব): বামুনহাটের মেলা
  • বামুনহাটের মেলা হয়: চৈত্র সংক্রান্তিতে
  • মেলা শুরু হয়: চৈত্র সংক্রান্তির প্রায় চৌদ্দো দিন আগে
  • মেলায় হাতি বিক্রি করলে সম্ভাব্য লাভ: এক হাজার টাকা
  • হাতিকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিল: মেজো ছেলে ও মাহুত
  • আদরিণী জেনেছিল: সে আর এই বাড়িতে ফিরবে না
  • বিদায়ের সময় আদরিণীর জন্য মিষ্টি: সন্দেশ ও রসগোল্লা
  • আদরিনী ফিরে এসেছিল: বামুনহাটের মেলা ভাঙার পর
  • হাতি বিক্রির স্থান (দ্বিতীয় প্রস্তাব): রসুলগঞ্জের হাটে
  • রসুলগঞ্জের মেলার দূরত্ব: বামুনহাটের মেলার দশ ক্রোশ উত্তরে
  • আদriণী অসুস্থ হয়েছিল: বাড়ি থেকে সাত ক্রোশ দূরে
  • রাত কটায় গাড়ি ছাড়ল জয়রামবাবুর? - দশটায়
  • আদরিণীর মৃত্যু: বাড়ি থেকে সাত ক্রোশ দূরে
  • আদরিণীর বিশাল শরীর কোথায় পড়ে ছিল? - আমবাগানের ভিতর
  • জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু: আদরিণী মারা যাওয়ার ষাট দিন পরে (দুই মাস )

প্রশ্নোত্তর (এক নজরে)

এখানে গল্প থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো, যা মনে রাখতে সুবিধা হবে:

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন:

"আদরিণী" গল্পের লেখক কে? উত্তর: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
গল্পটি কোন বইয়ের অংশ? উত্তর: গল্পাঞ্জলি।
'গল্পাঞ্জলি' গল্পগ্রন্থে মোট গল্প আছে- উত্তর: ৬টি
'আদরিণী' গল্পটি যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সেটি হল- উত্তর: সাহিত্য
'আদরিণী' গল্পটি 'সাহিত্য' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- উত্তর: ভাদ্র, ১৩২০ বঙ্গাব্দ
গল্পটি কোন ধরনের রচনা? উত্তর: ছোটোগল্প।
আদরিণী গল্পের মূল চরিত্র কে? উত্তর: জয়রাম মুখোপাধ্যায়।
'আদরিণী' গল্পে আমরা যে ডাক্তারের পরিচয় পাই তাঁর নাম হল - উত্তর: নগেন
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কী ছিল? উত্তর: শ্রীমতী রাধামণি দেবী।
গ গল্পটি কয়টি অংশে বিভক্ত? উত্তর: সাতটি।
'আদরিণী' গল্পে অন্যতম চরিত্র কুঞ্জবিহারীবাবু পেশায় ছিলেন- উত্তর: উকিল
নগেন ডাক্তার কার সাথে জয়রাম মোক্তারের কাছে এসেছিলেন? উত্তর: কুঞ্জবিহারী।
নগেন ডাক্তার ও জুনিয়ার উকিল কুঞ্জবিহারীবাবু নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন- উত্তর: পীরগঞ্জের বাবুদের বাড়ি থেকে
তারা কখন জয়রাম মোক্তারের বাড়িতে প্রথম এসেছিলেন? উত্তর: বিকেলে।
নগেন ডাক্তার ও কুঞ্জবিহারীবাবুরা যখন জয়রাম মোক্তারের কাছে আসেন তখন তাঁদের মুখে ছিল- উত্তর: পান
নগেন ও কুঞ্জবিহারীবাবুরা যখন জয়রাম মোক্তারের কাছে আসেন তখন তাঁদের কী হাতে ছিল ? উত্তর:ছড়ি
পীরগঞ্জের জমিদারের মেয়ের বিয়েতে যাওয়ার জন্য হাতি চেয়ে মহারাজ নরেশচন্দ্রকে পত্র লেখার অনুরোধ করা হয়েছিল কাকে? - জয়রাম মুখোপাধ্যায়কে
মেজবাবুর মেয়ের বিয়েতে কোথা থেকে বাই আসছিল? উত্তর: বেনারস।
পীরগঞ্জের বাবুদের বাড়ি থেকে কী আসছিল? উত্তর: খেমটা।
জয়রাম মুখোপাধ্যায় কত বছর ধরে বাঁধা মোক্তার ছিলেন? উত্তর: বিশ বছর।
জয়রামবাবুর অভিমান কেমন কারণে হত? উত্তর: অতি সামান্য কারণে।
"এ জেলার মধ্যে এমন কে বিষয়ী লোক আছে যে আপনার কাছে উপকৃত নয়?" - কে এ কথা বলেছিলেন? উত্তর: কুঞ্জবিহারীবাবু।
জয়রামবাবু ডাক্তার ও কুঞ্জবিহারীকে কোথায় বসতে বলেছিলেন? উত্তর: বেঞ্চিতে।
পীরগঞ্জে যেতে জয়রামবাবুর কঠিন লাগত কারণ তাতে কত দিন কাছারি কামাই হত? উত্তর: দু-দিন (সোম ও মঙ্গল)।
গোরুর গাড়ি করে যেতে আসতে কত দিন লাগত? উত্তর: চার দিন।
কী জোগাড় হওয়া মুশকিল ছিল? উত্তর: পালকি।
হাতি আনিয়ে নেওয়ার কথা কে বলেছিলেন? উত্তর: জয়রামবাবু।
রাজবাড়িতে চিঠি পাঠালে হাতি কখন আসবে বলে ধারণা করা হয়েছিল? উত্তর: বিকাল নাগাদ।
কোন গান শোনার কথা বলা হয়েছিল? উত্তর: পেয়ালা মুঝে ভর দে।
জয়রামবাবু কোন দিন একটু ঘটা করে আহ্নিক পূজা করেন? উত্তর: রবিবার।
রবিবার সকালে জয়রাম মোক্তার কয়টার সময় বৈঠকখানায় আসতেন? উত্তর: সাতটা।
জয়রাম মুখোপাধ্যায় নরেশচন্দ্র রায়কে লেখা চিঠিতে কোন বিশেষণ ব্যবহার করেননি? উত্তর: শ্রীম মহারাজ।
জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের চোখ কেমন ছিল? উত্তর: বড়ো বড়ো ভাসা ভাসা।
শ্রীযুক্ত জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের আদিবাস কোথায় ছিল? উত্তর: যশোর।
প্রথম মোক্তারি করতে আসার সময় তিনি কীভাবে আসেননি? উত্তর: মোটরগাড়ি।
পাকাদালান কোঠা করার পাশাপাশি তিনি আর কী করেননি? উত্তর: মোটরগাড়ি কেনেননি।
যারা জয়রাম মুখুয্যেকে হাঁটাতে পারত না তারা কারা? উত্তর: ইংরাজিওয়ালা মোক্তার।
যৌবনকালে ইনি রীতিমত কীরকম ছিলেন? উত্তর: বদরাগি।
জয়রাম মোক্তারের গাই গরুর নাম কী ছিল? উত্তর: মঙ্গলা।
কার মতো কী না থাকার কথা বলা হয়েছে? উত্তর: স্ত্রীর আইন জান।
আদালত অবমাননার জন্য কত টাকা জরিমানা হয়েছিল? উত্তর: পাঁচ টাকা।
পাঁচ টাকা জরিমানা রহিত করতে কত টাকা খরচ করেছিলেন? উত্তর: ১৭০০ টাকা।
কোন ধরনের মোকদ্দমা তিনি বিনা ফিসে চালাতেন না? উত্তর: শোষিত।
প্রতি রবিবার বিকেলে কতটার সময় মোক্তারমশাইয়ের বৈঠকখানায় লোকজন আসত? উত্তর: বিকালের সময়।
প্রতি রবিবার বিকেলে কী খেলা হত? উত্তর: তাস।
আদরিণীর খাওয়ার জন্য কোন গাছ কেটে আনা হয়েছিল? উত্তর: কলা গাছ।
হাতি চাইতে গেলে মহারাজা কীভাবে আসতে বলেছিলেন? উত্তর: গোরুর গাড়িতে।
হাতি না পাঠিয়ে গোরুর গাড়িতে আসার কথা বললে জয়রাম মোক্তারের প্রতিক্রিয়ায় কোনটি ছিল না? উত্তর: দুশ্চিন্তা।
জয়রাম মোক্তার যেন 'একেবারে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন'। তাতে তাঁর কী কাঁপতে লাগল? উত্তর: হাত পা ঠক্ ঠক্ করে।
"হাতি দিলে না...!" - এটি কত বার বলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে? উত্তর: ৩ বার।
নতুন বলদ কে কিনে এনেছিল? উত্তর: ইদামদ্দি শেখ।
আদরিণীকে জয়রাম মোক্তার কার কাছ থেকে কিনে নেন? উত্তর: উমাচরণ লাহিড়ী।
আদরিণীকে কত টাকায় কেনা হয়েছিল? উত্তর: ২০০০ টাকায়।
কাদের অপমান করে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল? উত্তর: অশিষ্ট বালকদিগকে।
ঘটিতে জল নিয়ে কে সভয় পদক্ষেপে বেরিয়ে এসেছিল? উত্তর: বড়ো বউমা।
কার ইঙ্গিতানুসারে আদriণী জানু পেতে বসল? উত্তর: মাহুতের।
আদরিণীর কপাল তেল ও সিন্দুরে রাঙিয়ে দিয়েছিল কে? উত্তর: বড়োবধূ।
মহারাজা নরেশচন্দ্র রায়ের বৈঠকখানা কয় তলবিশিষ্ট ছিল? উত্তর: দ্বিতল।
"যখন হুজুর বাহাদুরের দ্বারাই প্রতিপালন হচ্ছি" - বাক্যটিতে বক্তার কোন মনোভাব বোঝা যায়? উত্তর: বিনয় ও শ্লেষ।
নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ফেরার পরদিন বিকালে মুখোপাধ্যায় মহাশয় কার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন? উত্তর: নরেশচন্দ্রের সহিত।
জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের কয়টি পুত্র ছিল? উত্তর: তিনটি।
জয়রাম মোক্তারের কোন ছেলেটি কলকাতায় লেখাপড়া করত? উত্তর: ছোটোছেলে।
"সেটি যদি কালক্রমে মানুষ হয় এইমাত্র ভরসা।" - কিসের ভরসা ছিল? উত্তর: টাকা পয়সার অভাব মোচনের।
"মুখের জবাব মুখেই রহিয়া যায়।" - এর কারণ কী ছিল? উত্তর: জুনিয়র উকিলদের মুখের ইংরেজি ভাষা না বুঝতে পেরে তর্জমাকারীর সাহায্য নেওয়া।
খুনী মোকদ্দমার আসামী যখন জয়রাম মুখোপাধ্যায়কে মোক্তার নিযুক্ত করে তখন তাঁর বয়স কত ছিল? উত্তর: ৬১ বছর।
খুনী মোকদ্দমা কত দিন চলছিল? উত্তর: ৩ দিন যাবৎ।
"উনি উকিল নহেন, মোক্তার।" - কে বলেছিলেন? উত্তর: পেশকার।
"আপনি মোক্তার।" - জজসাহেব এই শব্দ দুটি মোট কত বার উচ্চারণ করেছিলেন? উত্তর: দুই বার।
হাতিটি বিক্রি করে দিলে মাসে কত টাকা বেঁচে যাবে? উত্তর: ত্রিশ-চল্লিশ টাকা।
"ওদের একে একে বিক্রি করে ফেল।" - কাদের বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে? উত্তর: নাতি-পুতি।
বিজ্ঞাপনের শিরোনাম কী ছিল? উত্তর: হস্তী ভাড়ার বিজ্ঞাপন।
আদরিণীর ভাড়া মাহুতের খোরাকি বাদ দিয়ে কত টাকা আয় হত? উত্তর: চার টাকা।
"হস্তী ভাড়ার বিজ্ঞাপন"-এর শেষে জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের ঠিকানা কোথায় দেওয়া ছিল? উত্তর: চৌধুরী পাড়া।
মাঝে মাঝে হাতি ভাড়া হলেও কত টাকার বেশি আয় হত না? উত্তর: ১৫-২০ টাকা।
আদরিণী যখন ভাড়া খাটত তখন মাসে সর্বোচ্চ কত বার ভাড়া খাটত? উত্তর: পাঁচ বার।
জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের কে পীড়িত হয়েছিল? উত্তর: বড়োছেলের বড়োছেলে।
কয়েক মাস পরেই আরও দুইটি জীবের অন্নসংস্থান করতে হবে, কারণ কী ছিল? উত্তর: বড়োবউ ও মেজোবউ অন্তঃসত্ত্বা।
জ্যেষ্ঠা পৌত্রী কল্যাণীর বয়স কত? উত্তর: এগারো বছরের বেশি।
কে ফুলুট বাজিয়ে বেড়াত? উত্তর: জয়রাম মোক্তারের বড়োছেলে।
কল্যাণীর বিবাহের পাত্রটি কোন্ কলেজে এমএ পড়ছিল? উত্তর: রাজশাহি।
কত হাজার টাকা হলে জয়রাম মোক্তারের বড়ো নাতনির বিয়ে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল? উত্তর: আড়াই হাজার।
জয়রাম মোক্তারের ছোটো ছেলেটি কোন্ পরীক্ষায় ফেল করেছিল? উত্তর: বিএ।
বামুনহাটে মেলা হয় কবে? উত্তর: চৈত্র সংক্রান্তিতে।
হাতিটিকে মেলায় পাঠিয়ে দিলে কত হাজার টাকা লাভ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল? উত্তর: এক হাজার টাকা।
বামুনহাটের মেলাটি চৈত্র সংক্রান্তির কত দিন আগে শুরু হয়? উত্তর: প্রায় চৌদ্দো দিন আগে।
আদরিণীকে বামুনহাটের মেলায় বিক্রি করতে যাওয়ার সময় মাহুতের সঙ্গে কে যাবে ঠিক হয়েছিল? উত্তর: মেজোছেলে।
"প্রাণ ধরিয়া বিদায়বাণী উচ্চারণ করিতে পারিলেন না।" তাই জয়রাম মোক্তার কীসের আশ্রয় নিয়েছিলেন? উত্তর: ছলনার।
কল্যাণীর বিবাহের সমস্ত কথাবার্তা পাকা হওয়ার পর বিয়ের দিন কবে স্থির হয়েছিল? উত্তর: ১০ জ্যৈষ্ঠ।
কোন্ মাস পড়লেই কল্যাণীর আশীর্বাদ সম্পন্ন হবে? উত্তর: বৈশাখ।
আদরিণী কবে ঘরে ফিরে এসেছিল? উত্তর: বামুনহাটের মেলা ভাঙার পর।
"ওঁর মুখ দিয়ে ব্রহ্মবাক্য বেরিয়েছে।" - ব্রহ্মবাক্যটি কী ছিল? উত্তর: "আদর, যাও মা মেলা দেখে এসো"।
আদরিণীকে কোথায় পাঠাবার পরামর্শ হয়েছিল? উত্তর: রসুলগঞ্জের হাটে।
বামুনহাটের মেলার কত ক্রোশ উত্তরে রসুলগঞ্জের মেলা বসে? উত্তর: দশ ক্রোশ উত্তরে।
আদরিণী কী জানতে পেরেছিল? উত্তর: সে আর এই বাড়িতে ফিরবে না।
আদরিণীর বিদায়ের পর জয়রাম মোক্তার তার জন্য কোন্ মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন? উত্তর: সন্দেশ ও রসগোল্লা।
বাড়ি থেকে কত দূরে আদরিণী অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে? উত্তর: সাত ক্রোশ।
কথায় বলে ব্রহ্মবাক্য কী? উত্তর: বেদবাক্য।
আদরিণী মারা যাওয়ার কত দিন পরে জয়রাম মোক্তারের মৃত্যু হয়েছিল? উত্তর: ৬০ দিন পরে।

শূন্যস্থান পূরণ:

১. বেনারস থেকে ______ আসছে। উত্তর: বাই
২. এই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি ______ অবধি লড়িয়াছিলেন। উত্তর: হাইকোর্ট
৩. আমি আজ বিশ বছর ধরে তাদের ______ বাঁধা মোক্তার। উত্তর: এস্টেটের
৪. এ দিন ______ আহ্নিক পূজাটা মুখুয্যে মহাশয় একটু ঘটা করিতেন। উত্তর: প্রভাতে
৫. এই সময় দায়রায় একটি ______ মোকদ্দমা উপস্থিত হইল। উত্তর: খুনী
৬. জয়রাম বলিলেন-"হ্যাঁ হুজুর, আমি আপনার ______।" উত্তর: তাঁবেদার
৭. সন্ধ্যার কিছু পূর্বে জয়রাম, বৈঠকখানায় বসিয়া ______ দেখিতেছিলেন। উত্তর: পাশা খেলা
৮. ব্যবসায় ছাড়িয়া ______ মুখোপাধ্যায়ের সংসার চলিতে লাগিল। উত্তর: কায়ক্লেশে
৯. তখন জয়রামবাবুর বয়স ______ বছর ছিল। উত্তর: ৬১
১০. সেদিন, ______ অবমাননার জন্য মোক্তার মহাশয়ের পাঁচ টাকা জরিমানা হইয়াছিল। উত্তর: আদালত
১১. সমবেত ______ ক্রীড়া বন্ধ করিয়া হাত গুটাইয়া বসিলেন। উত্তর: ভদ্রলোকগণ
১২. আপনি জ্ঞানী লোক, ______ পরিত্যাগ করুন। উত্তর: মায়া
১৩. তিনি অকাতরে ______ করিতেন। উত্তর: অন্নদান
১৪. পুরানো ______ নিয়মের আইন-ব্যবসায়ীর আর কদর নেই। উত্তর: শিথিল
১৫. নতুন নিয়মে পাশ করা শিক্ষিত মোক্তারে ______ ভরিয়া গিয়াছে। উত্তর: জেলাকোর্ট
১৬. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের হৃদয়খানি অত্যন্ত কোমল ও স্নেহপ্রবণ হইলেও, মেজাজটা কিছু ______উত্তর: রুক্ষ
১৭. তখনই কাগজ কলম লইয়া নিম্নলিখিত বিজ্ঞাপনটি ______উত্তর: মুসাবিদা করিলেন
১৮. পরদিন বেলা ______ সময় হস্তিনী আসিল। উত্তর: সাতটার
১৯. ______ করে যেতে হলে, যেতে দুদিন আসতে দুদিন। উত্তর: গোরুর গাড়িতে
২০. শ্রীযুক্ত জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বয়স এখন ______ পার হইয়াছে। উত্তর: ৬১
২১. ইহাদের যেন বিশ্বাস, যে ইংরাজি জানে না, সে ______ নহে। উত্তর: মনুষ্যপদবাচ্যই
২২. মহারাজের দ্বিতল বৈঠকখানার নিম্নে বিস্তৃত ______উত্তর: প্রাঙ্গণ
২৩. সন্ধ্যার পর গৃহে ফিরিয়া ______ বসিয়া, সমবেত বন্ধুমণ্ডলীর নিকট মুখোপাধ্যায় এই কাহিনি। উত্তর: বৈঠকখানায়
২৪. "উনি তো আজকালকার ______ ব্রাহ্মণ নন।” উত্তর: মুর্গিখোর