"পোটরাজ" গল্পের সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ: প্রশ্নোত্তর, শব্দার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নমস্কার পাঠকবৃন্দ! Notezy.blogspot.com-এ আপনাদের স্বাগতম।
আজ আমরা সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্মস্পর্শী গল্প, শঙ্কর রাও খারাটের লেখা "পোটরাজ" নিয়ে আলোচনা করব।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা গল্পের সারসংক্ষেপ, কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ, এবং গল্পের সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করব, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, আমরা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন এবং শূন্যস্থান পূরণ কেন্দ্রিক সঠিক বিকল্প নির্ণয় করে গল্পের গভীরে প্রবেশ করব।
"পোটরাজ" - একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
"পোটরাজ" গল্পটি একটি সামাজিক আখ্যান, যা গ্রামীণ জীবনের বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষের লড়াইকে তুলে ধরে।
শঙ্কর রাও খারাটের এই রচনাটি সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবন এবং তাদের কঠিন বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে।
গল্পটি অনুবাদ করেছেন সুনন্দন চক্রবর্তী।
"পোটরাজ" গল্পের সহজ সরল সারসংক্ষেপ
"পোটরাজ" শঙ্কর রাও খারাটের লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প, যা সুনন্দন চক্রবর্তী বাংলায় অনুবাদ করেছেন। এই গল্পটি একটি গ্রামীণ সমাজের বিশ্বাস, ভয় এবং কুসংস্কারকে তুলে ধরে, যেখানে মহামারীর সময় মানুষের অসহায়ত্ব দেখা যায়।
গল্পের মূল বিষয়বস্তু (Point of Important Information to Remember)
লেখক: শঙ্কর রাও খারাট, যিনি দলিত সম্প্রদায়ের একজন লেখক এবং তাদের জীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
অনুবাদক: সুনন্দন চক্রবর্তী।
প্রধান চরিত্র: দামা, যে 'পোটরাজ' নামে পরিচিত। সে মারী-আই দেবীর সেবক।
মহামারী: গ্রামে এক মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যা গ্রামের মানুষ 'মারী-আই' দেবীর কোপ বা 'মায়ের দয়া' বলে মনে করে।
কুসংস্কার: গ্রামের মানুষ মনে করে, দেবীকে সন্তুষ্ট না করলে বা তার 'যাত্রা' না করলে রোগ দূর হবে না।
আনন্দর ভূমিকা: দামার ছেলে আনন্দ, যে হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ে, সে এই কুসংস্কার মানতে রাজি নয়।
সে তার বাবার মতো পোটরাজ হতে চায় না।
সংঘাত: গল্পে কুসংস্কার এবং আধুনিক চিন্তার মধ্যে একটি সংঘাত দেখা যায়।
শেষ: গল্পের শেষে মা মারী-আই নিজে গাঁয়ের বাইরে চলে যান, যা গ্রামের মানুষ 'মায়ের দয়া' হিসেবে দেখে এবং বিশ্বাস করে যে রোগ এবার সারবে।
এটি কুসংস্কারের প্রতি লেখকের একটি সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ।
লাইন বাই লাইন সারসংক্ষেপ (Line by Line Summary)
শুরু: গল্প শুরু হয় গ্রামের এক কঠিন সময়ে, যখন মহামারীতে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মানুষ অসুস্থ।
দামার বাড়িও এর ব্যতিক্রম নয়, দামা নিজেও অসুস্থ।
দামার অসুস্থতা: গ্রামের পোটরাজ দামা রোগের কারণে বিছানায় শুয়ে আছে।
তার স্ত্রী দুরপত খুব চিন্তিত এবং দেবীর কাছে স্বামীর সুস্থতার জন্য নানা মানত করছে।
গ্রামের ভয় ও কুসংস্কার: গ্রামের মানুষ ভীত। তারা বিশ্বাস করে যে মারী-আই দেবী ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তাকে সন্তুষ্ট না করলে এই মহামারী থামবে না।
কাকের ডাক বা কুকুরের চিৎকারকেও তারা অশুভ লক্ষণ মনে করে।
পোটরাজের গুরুত্ব: গ্রামের লোকেরা মনে করে, মারী-আই-এর 'যাত্রা' করা খুবই জরুরি। এই যাত্রা একমাত্র পোটরাজই করতে পারে।
মোড়লের প্রস্তাব: দামা যেহেতু অসুস্থ, তাই গ্রামের মোড়ল এবং অন্য মাতব্বররা দামার ছেলে আনন্দকে নতুন পোটরাজ হওয়ার প্রস্তাব দেয়।
আনন্দর প্রতিবাদ: আনন্দ হাইস্কুলে পড়াশোনা করে এবং আধুনিক চিন্তাভাবনার ছেলে।
সে এই কুসংস্কার বিশ্বাস করে না এবং পোটরাজ হতে চায় না।
সে মনে করে, একবার পোটরাজ হলে সারাজীবন তাকে এই কাজ করতে হবে। তার এই প্রস্তাবে খুব রাগ হয়।
পারিবারিক টানাপোড়েন: আনন্দর মা দুরপত প্রথমে ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কারণ সে চায় তার স্বামীর ঐতিহ্য বজায় থাকুক।
কিন্তু আনন্দ যখন পোটরাজ হতে রাজি হয় না, তখন মা-ও তার কষ্ট বোঝে।
আনন্দর পলায়ন: রাগের বশে আনন্দ বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গল্পের শেষ: অবশেষে গ্রামের মানুষ দেখতে পায় যে মা মারী-আই-এর মূর্তি নিজেই গাঁয়ের সীমানার বাইরে গিয়ে বসে আছে।
গ্রামের মানুষ এটিকে দেবীর দয়া মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে এবার রোগ সেরে যাবে।
দামা এই খবর শুনে খুশি হয় এবং তার সুস্থতা দেখা যায়।
এই সারসংক্ষেপটি আপনাকে "পোটরাজ" গল্পের একটি পরিষ্কার ধারণা দেবে।
পোটরাজ গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (Fact File)
এই ফ্যাক্ট ফাইলটি "পোটরাজ" গল্পের মূল তথ্য, লেখক পরিচিতি, এবং গল্পের বিষয়বস্তুর উপর আলোকপাত করে, যা MCQ এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. লেখক পরিচিতি: শঙ্কর রাও খারাট
পুরো নাম: শঙ্কর রাও রামচন্দ্র রাও খারাট
জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ (মহারাষ্ট্রের আঠাপাড়ি গ্রামে)
মৃত্যু: এপ্রিল, ২০০১ খ্রিস্টাব্দ
সম্প্রদায়: জন্মগতভাবে দলিত (মাহার) সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
ধর্মান্তর: বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
কর্মজীবন ও পদ:
- মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
- মহারাষ্ট্র অধ্যায়ন বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
ভীমরাও আম্বেদকরের কর্মজীবন নিয়েও মারাঠা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ন করেছে।
লেখনীর বৈশিষ্ট্য: সামাজিক পীড়নে নিষ্পেষিত দলিত সম্প্রদায়ের (বিশেষত মাহার) জীবন, তাদের সংগ্রাম, কঠিন বাস্তবতা, এবং অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তার লেখনীতে বারবার ফুটে উঠেছে।
তিনি দলিত সাহিত্যে নিজেকে একজন 'সত্যদ্রষ্টা' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিকর্ম:
- উপন্যাস: 'বারাট' (১৯৬২)
- গল্প সংকলন: 'তিতবেচা যেদাহ' (১৯৬২)
- প্রবন্ধ সংকলন: 'আডগাভাচে পানি এবা' (১৯৭৩), 'মাসালেদার'
- আত্মজীবনীমূলক রচনা: 'ড. আম্বেদকরের ধর্মাতন্ত্র'
২. গল্পের অনুবাদক: সুনন্দন চক্রবর্তী
জন্ম: ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ
ভূমিকা: 'পোটরাজ' গল্পের বাংলা অনুবাদ করেছেন।
মৌলিক রচনা: 'বাঙাল চক্কর'
৩. গল্পের মূল চরিত্র: দামা (পোটরাজ)
ভূমিকা: গল্পের প্রধান চরিত্র এবং গ্রামের 'পোটরাজ'।
সম্প্রদায়: মাহার সম্প্রদায়ের মানুষ।
পরিচয়: মারী-আই দেবীর প্রধান সেবক।
কাজ: দেবীর সেবক রূপে ডুগডুগি বাজিয়ে, চাবুক কাঁধে নিয়ে নাচতেন এবং দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন।
অসুস্থতা: গল্পের শুরুতে দামা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় ছিল, যার কারণে সে দেবীর যাত্রা করতে পারছিল না।
৪. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র:
দুরপত: দামার স্ত্রী। সে স্বামীর অসুস্থতা ও গ্রামের পরিস্থিতির জন্য খুব চিন্তিত এবং দেবীর কাছে নানা মানত করে।
আনন্দ: দামা ও দুরপতের বড়ো ছেলে। সে হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ে এবং আধুনিকমনস্ক।
সে পোটরাজ হতে ইচ্ছুক নয় এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তার মনে বিদ্রোহ দেখা যায়।
বঞ্চলা: পোটরাজের প্রতিবেশী বা আত্মীয়।
সে দুরপতকে প্রশ্ন করে মারী-আই-এর যাত্রায় গিয়েছিল কিনা।
গ্রামের মোড়ল: গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি, যে দামার অসুস্থতার কারণে আনন্দকে পোটরাজ করার প্রস্তাব দেয়।
গ্রামের অন্যান্য লোক: তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং মহামারীর কারণে ভীত হয়ে মারী-আই-কে সন্তুষ্ট করার জন্য পোটরাজের যাত্রার উপর নির্ভরশীল।
৫. মারী-আই দেবী ও কুসংস্কার:
পরিচয়: গ্রামের মানুষের বিশ্বাস অনুযায়ী, মারী-আই হলেন এক দেবী, যাঁর ক্রোধে গ্রামে মহামারী (কলেরা/বসন্ত) দেখা দেয়।
পূজা পদ্ধতি:
- মঙ্গলবার ও শুক্রবার উপোস রাখা।
- দুধ ও দই দিয়ে দেবীকে স্নান করানো।
- সবুজ রঙের শাড়ি পরানো।
- নারকেল দিয়ে ভোগ দেওয়া।
- আষাঢ় মাসের অমাবস্যা তিথিতে ভিজে শাড়িতে দেবীর সামনে গড়ান দেওয়া।
- ছাগল বলি দেওয়া (না পারলে কুমড়ো বলি)।
- রক্তের ছড়া দেওয়া।
বিশ্বাস: গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করে যে দেবীকে সন্তুষ্ট না করলে বা পুজো না করলে সর্বনাশ হয় এবং দেবীকে মিছিল করে গাঁয়ের সীমানার বাইরে রেখে না এলে মহামারী দূর হবে না।
৬. গল্পের প্রেক্ষাপট ও মূল বিষয়:
সময়কাল: আষাঢ় মাস, যখন আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে।
পরিবেশ: গ্রামীণ পরিবেশ, যেখানে কুসংস্কার, ভয় এবং অসহায়ত্ব প্রবল।
মহামারী: গ্রামে এক ভয়াবহ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, যার ফলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একজন অসুস্থ।
এই মহামারীকে 'মায়ের দয়া' বলে বিশ্বাস করা হয়।
কাক ও কুকুরের ভূমিকা: কাকের ডাক এবং কুকুরের চিৎকারকে অশুভ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়, যা গ্রামের মানুষের কুসংস্কারকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সংঘর্ষ:
- কুসংস্কার বনাম আধুনিকতা: দামার ছেলে আনন্দ, যে হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ে, সে পোটরাজ হতে অস্বীকার করে, যা প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আধুনিক শিক্ষার একটি প্রতীকী লড়াই।
- নিয়তি বনাম মানবীয় প্রচেষ্টা: গ্রামের মানুষ মহামারীর জন্য দেবীর কোপকে দায়ী করে এবং দেবীকে তুষ্ট করার উপরই ভরসা রাখে, যা তাদের অসহায়ত্বকে তুলে ধরে।
গল্পের শেষ: মা মারী-আই নিজে গাঁয়ের বাইরে গিয়ে বসে আছেন - এই ঘটনাকে গ্রামের মানুষ দেবীর দয়া হিসেবে দেখে এবং বিশ্বাস করে যে মহামারী এবার কাটবে।
এটি আসলে গল্পের একটি ব্যঙ্গাত্মক দিক, যেখানে কুসংস্কারের চরম পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও তাদের প্রেক্ষাপট
"এখনও প্রাণটুকু আছে খালি, বাবা।"
— দুরপত (দামার অবস্থা সম্পর্কে)
"ভেবো না, ভালো হয়ে যাবে।"
— গ্রামের লোক (অসুস্থ দামা সম্পর্কে)
"বেজন্মাটা আমাদের শাপমন্যি করছে।"
— দুরপত (অলক্ষুণে কাক সম্পর্কে)
"ভবিষ্যতের কথা বলছে গো।"
— দুরপতের পাশের বউটি (কুকুরের চিৎকার শুনে)
"দূরপত মারী-আই-এর যাত্রায় গিয়েছিলি তো?"
— বঞ্চলা (দুরপতের কাছে দেবীর সেবাপূজা সম্পর্কে)
"হে মা, তোমার কোপে পড়লাম কেন?”
— দুরপত (মহামারী থেকে মুক্তি চেয়ে)
"দামা, বাড়ি আছো নাকি, দামা"
— গ্রামের মোড়ল (দামার খোঁজ নিতে এসে)
"বলো কী, মা নিজের ভক্তকেই হেনেছেন?"
— গ্রামের মোড়ল (দামার অসুস্থতা শুনে)
"আমাদের আরেকবার যাত্রা করতে হবে।"
— গ্রামের লোক (মহামারী দূর করার জন্য)
"কী ক'রে করবে"
— দুরপত (দামার পক্ষে যাত্রা করা সম্ভব নয় দেখে)
"শুধু ব্যাক্তিতে কি পোটরাজ হয়?"
— মোড়ল (আনন্দকে পোটরাজ করতে চেয়ে)
"একবার পোটরাজ হ'লে সারাজীবনই তো ওকে পোটরাজ থেকে যেতে হবে।"
— দুরপত (আনন্দর ভবিষ্যৎ ভেবে)
"আনন্দ, ভুলিস না।"
— দুরপত (যখন আনন্দ বাড়ি থেকে পালায়)
শব্দার্থ (Word Meanings)
গল্পটি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ নিচে দেওয়া হলো:
"পোটরাজ" গল্পের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ
- ১. পোটরাজ:মারী-আই দেবীর প্রধান সেবক।
- ২. মারী-আই:মহামারীর দেবী, যার ক্রোধে রোগ ছড়ায় বলে বিশ্বাস।
- ৩. আঁচল:শাড়ির অংশ যা দিয়ে মুখ বা চোখ মোছা হয়।
- ৪. অলক্ষুণে:অশুভ বা অমঙ্গলজনক।
- ৫. শাপমন্যি:অভিশাপ বা শাপ দেওয়া।
- ৬. আষাঢ় মাস:বাংলা বর্ষার শুরু, জুন-জুলাই মাস।
- ৭. ধুকপুকি:হৃৎপিণ্ডের দ্রুত স্পন্দন, ভয় বা চিন্তায় হয়।
- ৮. মানত:দেব-দেবীর কাছে কোনো ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা বা প্রতিজ্ঞা।
- ৯. উপোস:উপবাস, খাবার গ্রহণ না করা।
- ১০. অমাবস্যা তিথি:চান্দ্র মাসের শেষ তিথি, যেদিন চাঁদ দেখা যায় না।
- ১১. গড়ান:শুয়ে গড়াগড়ি দেওয়া।
- ১২. রক্তের ছড়া:বলিপ্রথার অংশ হিসেবে রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া।
- ১৩. মোড়ল:গ্রামের প্রধান বা মাতব্বর ব্যক্তি।
- ১৪. হেনেছেন:আঘাত করেছেন বা ক্ষতি করেছেন।
- ১৫. মহামারী:ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগ, যা বহু মানুষের জীবনহানি ঘটায়।
- ১৬. মিছিল:শোভাযাত্রা, দেবীকে গাঁয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
- ১৭. কুসংস্কার:ভিত্তিহীন বা অন্ধবিশ্বাস।
- ১৮. দলিত:ভারতের সামাজিকভাবে নিপীড়িত নিম্নবর্গের মানুষ।
- ১৯. উপাচার্য:বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
- ২০. যাত্রার সময়:দেবীকে নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ বা স্থানান্তরিত করার সময়।
এক লাইনের প্রশ্নোত্তর (One-Liner Questions with Answers)
এখানে "পোটরাজ" গল্প থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক লাইনের প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো:
- ১. 'পোটরাজ' গল্পের লেখক হলেন কে?উত্তর: শঙ্কর রাও খারাট
- ২. শঙ্কর রাও খারাট কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?উত্তর: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
- ৩. শঙ্কর রাও খারাট কোথাকার লেখক ছিলেন?উত্তর: মহারাষ্ট্রের
- ৪. শঙ্কর রাও খারাট কোন ধর্মে ধর্মান্তরিত হন?উত্তর: বৌদ্ধ ধর্মে
- ৫. শঙ্কর রাও খারাট কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন?উত্তর: মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়
- ৬. সুনন্দন চক্রবর্তী কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?উত্তর: ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে
- ৭. 'পোটরাজ' গল্পের বাংলা অনুবাদক কে?উত্তর: সুনন্দন চক্রবর্তী
- ৮. সুনন্দন চক্রবর্তীর একটি মৌলিক রচনার নাম কী?উত্তর: বাঙাল চক্কর
- ৯. দামার বাড়ি কোথায় ছিল?উত্তর: গ্রামে
- ১০. দামার বউ চোখের জল মুছছিল কী দিয়ে?উত্তর: আঁচল দিয়ে
- ১১. চোখভরা জল কার ছিল?উত্তর: দামার বউয়ের
- ১২. পাড়ার থেকে দামাকে দেখতে কারা আসছিল?উত্তর: বউ-ঝিরা
- ১৩. "এখনও প্রাণটুকু আছে খালি, বাবা।" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ১৪. "ভেবো না, ভালো হয়ে যাবে।" এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: গ্রামের লোক
- ১৫. লোকেরা পোটরাজের শারীরিক অবস্থার খবর নিলে দুরপত কীভাবে জবাব দিয়েছিল?উত্তর: করুণ মুখে
- ১৬. প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় কে ছিল?উত্তর: একজন
- ১৭. "কাবু যাওয়ার সময় হলেই সে যাবে" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: গ্রামের লোক
- ১৮. একটা কাক কোথায় চেঁচিয়ে উঠেছিল?উত্তর: নিমগাছে
- ১৯. বাড়ির সামনে নিমগাছ থেকে কে চেঁচিয়ে ওঠে?উত্তর: কাক
- ২০. অলক্ষুণে কাককে তাড়ানোর কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ২১. দুরপত 'কাক' তাড়াতে কাকে বলেছিল?উত্তর: বাচ্চাদের
- ২২. অলক্ষুণে কাককে ঢিল ছুঁড়ে কে মেরেছিল?উত্তর: দুরপতের ছেলে
- ২৩. "বেজন্মাটা আমাদের শাপমন্যি করছে" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ২৪. "সারা আকাশ মেঘে ঢাকা" — সময়টা কোন মাস ছিল?উত্তর: আষাঢ় মাস
- ২৫. দামার বাড়ির দরজায় কে চিৎকার করছিল?উত্তর: কুকুর
- ২৬. কুকুর টানা চিৎকার করছিল কোথায়?উত্তর: বাড়ির দরজায়
- ২৭. কুকুরের চিৎকার শুনে কার প্রাণ শুকোয়?উত্তর: দুরপতের
- ২৮. কুকুরের চিৎকার শুনে দুরপত কুকুরকে কী অভিশাপ দিয়েছিল?উত্তর: গোর দেওয়ার
- ২৯. "ভবিষ্যতের কথা বলছে গো।" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপতের পাশে বসা বউটি
- ৩০. "দূরপত মারী-আই-এর যাত্রায় গিয়েছিলি তো?" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: বঞ্চলা
- ৩১. বাপ-মা মায়ের কাছে মানত করেছিল সেজন্যই কে?উত্তর: পোটরাজ
- ৩২. পোটরাজের বউয়ের নাম কী ছিল?উত্তর: দুরপত
- ৩৩. দুরপতের স্বামীর নাম কী ছিল?উত্তর: দামা
- ৩৪. দুরপত কোন কোন বারে উপোস করে?উত্তর: মঙ্গলবার-শুক্রবার
- ৩৫. 'মা'-কে কী দিয়ে চান করানো হয়?উত্তর: দুধ ও দইয়ে
- ৩৬. 'মা'-কে কোন রঙের শাড়ি পরানো হয়?উত্তর: সবুজ
- ৩৭. মা-কে কী দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়?উত্তর: নারকেল
- ৩৮. "হে মা, তোমার কোপে পড়লাম কেন?” — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ৩৯. দুরপত কোন্ মাসে স্নান করে মায়ের কাছে গড়ান দেয়?উত্তর: আষাঢ়
- ৪০. দুরপত কোন্ তিথিতে ভিজে শাড়িতে মায়ের কাছে গড়ান দেয়?উত্তর: অমাবস্যা তিথিতে
- ৪১. মায়ের দোরে কীসের ছড়া দেওয়া হয়?উত্তর: রক্তের
- ৪২. মাকে ছাগল দিতে না পারলে কী দেওয়া হয়?উত্তর: কুমড়ো
- ৪৩. দুরপত হাতজোড় করে প্রার্থনা করে কোন্ মন্দিরের দিকে মুখ করে?উত্তর: মারী-আই মন্দির
- ৪৪. "দামা, বাড়ি আছো নাকি, দামা" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: গ্রামের মোড়ল
- ৪৫. গ্রাম-মণ্ডলের কতজন লোক পোটরাজের বাড়ি এসেছিল?উত্তর: চারজন
- ৪৬. "পোটরাজ কেমন আছে দেখতে লোকে তো আসবেই।" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: বঞ্চলাবাঈ
- ৪৭. পোটরাজ আজ কতদিন রৌদে বেরোয় না?উত্তর: তিনদিন
- ৪৮. দামা ছিল গাঁয়ের কে?উত্তর: পোটরাজ
- ৪৯. মেয়েরা যখন কথা বলছিল দুরপত তখন কোথায় ছিল?উত্তর: বাড়ির দরজায়
- ৫০. "দামা কোথায় এ-কদিন?" — কে বলেছিল?উত্তর: মোড়ল
- ৫১. "বলো কী, মা নিজের ভক্তকেই হেনেছেন?" — মায়ের ভক্ত কে?উত্তর: পোটরাজ
- ৫২. সকাল-সাঁঝ মায়ের ছায়ায় বসবাস হল কার?উত্তর: দামার
- ৫৩. "আমাদের আরেকবার যাত্রা করতে হবে।" — কেন?উত্তর: দেবীকে গাঁয়ের সীমানার বাইরে রেখে আসতে
- ৫৪. মাকে কেন খুশি করতে হবে?উত্তর: মহামারী দূর করার জন্য
- ৫৫. "মাকে খুশি করতেই হবে।" — এ কথা কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ৫৬. কী না করলে মার চক্কর গাঁয়ের উপর থেকে কাটবে না বলে গাঁয়ের লোকের ধারণা?উত্তর: দেবীকে মিছিল করে গাঁয়ের সীমানার বাইরে না রেখে এলে
- ৫৭. "কী ক'রে করবে" — কী করবে পোটরাজ?উত্তর: মাকে নিয়ে যাত্রা
- ৫৮. "ওই হাইস্কুলে পড়ছে এখন যে ছেলেটা?” — কার ছেলে?উত্তর: দামার ছেলে
- ৫৯. দামার ছেলে কোথায় পড়ে?উত্তর: হাই স্কুলে
- ৬০. "ওর বাবার জায়গায় ও যদি 'যাত্রা'টা করে তো ক্ষতি কী!" — 'ওর বাবার' নাম কী?উত্তর: দামা
- ৬১. "শুধু ব্যাক্তিতে কি পোটরাজ হয়?" — কী করলে পোটরাজ হয়?উত্তর: 'যাত্রা' করলে
- ৬২. মোড়লের জন্য একজন কী দরকারই?উত্তর: পোটরাজ
- ৬৩. দুরপতের বড়ো ছেলের নাম কী?উত্তর: আনন্দ
- ৬৪. আনন্দ হল পোটরাজের কে?উত্তর: বড়ো ছেলে
- ৬৫. "...তার রাগ হতে থাকল" — কার?উত্তর: আনন্দর
- ৬৬. আনন্দর রাগ হতে থাকলে কেন?উত্তর: তাকে পোটরাজ হতে বলা হচ্ছে
- ৬৭. 'পোটরাজ' গল্পে আনন্দ হাই স্কুলে কী ভাষা পড়ে বলা হয়েছে?উত্তর: ইংরেজি
- ৬৮. আনন্দর নিশ্বাস ঘন হয়ে উঠল কেন?উত্তর: রাগ হয়েছে বলে
- ৬৯. "একবার পোটরাজ হ'লে সারাজীবনই তো ওকে পোটরাজ থেকে যেতে হবে।" কথাটি কে বলেছিল?উত্তর: দুরপত
- ৭০. "দুজনের কথাই ভাবতে হবে।" — কথাটি কে বলেছিল?উত্তর: মোড়ল
- ৭১. "গাঁয়ের ধারে মিছিল নিয়ে যেতেই হবে।" — কথাটি কে বলেছিল?উত্তর: একটি একরোখা গোছের লোক
- ৭২. "লাফিয়ে উঠে সে হাত মুঠি করলে।” — কে?উত্তর: আনন্দ
- ৭৩. রাগের আনন্দর কী হয়েছিল?উত্তর: চোখ ঠেলে বেরোল
- ৭৪. ভয় দেখিয়ে কারা ফিরে গেল?উত্তর: গ্রাম মণ্ডলের লোকেরা
- ৭৫. দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল কে?উত্তর: আনন্দ
- ৭৬. মা যখন গাঁয়ের ধারে গিয়ে বসেছিলেন, তাঁর পরনে কী শাড়ি ছিল?উত্তর: সবুজ শাড়ি
- ৭৭. মার গলার হারটিতে কটি সবুজ বালা ছিল?উত্তর: অনেকগুলো
- ৭৮. মার গলায় হারের রং কী ছিল?উত্তর: সবুজ
- ৭৯. "গাঁয়ের লোকেরা বিশ্বেস দেবীর চক্কর এবার কেটে যাবে।" — এমন বিশ্বাস কেন?উত্তর: মা নিজেই গাঁয়ের বাইরে চলে গেছেন
- ৮০. "সেই চিৎকারে দামার মুখ আলো হয়ে যায়।” — কেন এমন ঘটে?উত্তর: আনন্দিত হয়েছে বলে
- ৮১. মিছিল কোন্ দিকে এগোয়?উত্তর: গাঁয়ের দিকে
- ৮২. "আনন্দ, ভুলিস না।" — কে বলেছে?উত্তর: দুরপত
- ৮৩. শঙ্কর রাও খারাটের পুরো নাম কী?উত্তর: শঙ্কর রাও রামচন্দ্র রাও খারাট
- ৮৪. শঙ্কর রাও খারাট কোন সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন?উত্তর: দলিত সম্প্রদায় (মাহার)
- ৮৫. শঙ্কর রাও খারাট কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন?উত্তর: মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়
- ৮৬. শঙ্কর রাও খারাট ছাড়াও কোন লেখকের কর্মজীবন নিয়ে মারাঠা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ন করেছে?উত্তর: ভীমরাও আম্বেদকর
- ৮৭. শঙ্কর রাও খারাটের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের নাম কী?উত্তর: 'বারাট' (১৯৬২)
- ৮৮. শঙ্কর রাও খারাটের একটি গল্পের বইয়ের নাম কী?উত্তর: 'তিতবেচা যেদাহ' (১৯৬২)
- ৮৯. শঙ্কর রাও খারাটের একটি প্রবন্ধ সংকলনের নাম কী?উত্তর: 'আডগাভাচে পানি এবা' (১৯৭৩)
- ৯০. শঙ্কর রাও খারাটের একটি আত্মজীবনীমূলক রচনার নাম কী?উত্তর: 'ড. আম্বেদকরের ধর্মাতন্ত্র'
- ৯১. শঙ্কর রাও খারাটের লেখনীতে কোন সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন তুলে ধরা হয়েছে?উত্তর: দলিত সম্প্রদায়
- ৯২. 'পোটরাজ' গল্পের প্রধান চরিত্র কে?উত্তর: দামা
- ৯৩. দামা কোন সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল?উত্তর: মাহার সম্প্রদায়
- ৯৪. দামা কার সেবক ছিল?উত্তর: মারী-আই
- ৯৫. দামা মারী-আই-এর সেবক রূপে কী কাঁধে নিয়ে নাচত?উত্তর: ডুগডুগি ও চাবুক
- ৯৬. মারী-আই-এর মূর্তির পরনে কী থাকত?উত্তর: সবুজ শাড়ি
- ৯৭. মারী-আই-এর মূর্তির গলায় কী থাকত?উত্তর: অনেক সবুজ বালার হার
- ৯৮. দামা কখন মারী-আই-এর পূজায় ব্যস্ত থাকত?উত্তর: মারী-আই-এর যাত্রার সময়
- ৯৯. দামা অসুস্থ থাকার কারণে কে পোটরাজ হবার কথা তোলে?উত্তর: গ্রামের মোড়ল
- ১০০. আনন্দর মা কীভাবে আনন্দকে বোঝানোর চেষ্টা করেন?উত্তর: বুঝিয়ে ও কান্না করে
- ১০১. আনন্দ যখন পোটরাজ হতে অস্বীকার করে, তখন সে কী করে?উত্তর: বাড়ি থেকে দৌড়ে পালায়
- ১০২. গল্পের শেষে মা মারী-আই কোথায় গিয়ে বসে আছেন?উত্তর: গাঁয়ের ধারে
- ১০৩. "মায়ের দয়া" ছড়িয়ে পড়ার কারণ কী?উত্তর: মহামারী
- ১০৪. "গাঁয়ের সর্বত্র কান্না আর চিৎকারের আওয়াজ।" এর কারণ কী?উত্তর: রোগের প্রাদুর্ভাব
- ১০৫. মারী-আইকে তুচ্ছ করার সাধ্য নেই কেন?উত্তর: পুজো না-করলে সর্বনাশ হয় বলে
- ১০৬. "মায়ের দয়া ছড়িয়ে পড়েছে" — এখানে 'মা' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?উত্তর: মারী-আই
- ১০৭. বিবৃতি: প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই একজন অন্তত বিছানায়। এর কারণ কী?উত্তর: 'মায়ের দয়া' ছড়িয়ে পড়েছে।
- ১০৮. 'গাঁয়ের সর্বত্র কান্না আর চিৎকারের আওয়াজ।' — এর কারণ কী?উত্তর: দুরপতের বুকের ধুকপুকি পলকের জন্য থমকায়।
- ১০৯. মারী-আইকে পুজো না-করলে সর্বনাশ হয় কেন?উত্তর: সব দেবতার মধ্যে মারী-আইকে তুচ্ছ করার সাধ্য নেই।
শূন্যস্থান পূরণ কেন্দ্রিক সঠিক বিকল্পটি নির্ণয় (Fill in the blanks)
- ১. বাড়ির সামনের নিমগাছে একটা কাক চেঁচিয়ে ওঠে।সঠিক উত্তর: নিমগাছে
- ২. "সবসময় বেজন্মাটা আমাদের শাপমন্যি করছে।" গজগজ করে আপন মনে দুরপত ।সঠিক উত্তর: দুরপত
- ৩. এ হ'লো আষাঢ় মাস।সঠিক উত্তর: আষাঢ়
- ৪. দামার বাড়ির দরজায় একটা কুকুর টানা চিৎকার জুড়ে দিল।সঠিক উত্তর: কুকুর
- ৫. "দুরপা, মারী-আই-এর যাত্রায় গিয়েছিলি তো?"সঠিক উত্তর: মারী-আই-এর
- ৬. বলে, "দুরপা, মারী-আই-এর যাত্রায় গিয়েছিলি তো?" বঞ্চলা ।সঠিক উত্তর: বঞ্চলা
- ৭. "ওর বাপ-মা মায়ের কাছে মানত করেছিলো ওকে।"সঠিক উত্তর: মানত
- ৮. এ বাড়িতে ঢোকা ইস্তক মঙ্গলবারে-শুক্কুরবারে তোমার নামে উপুশ করেছি।সঠিক উত্তর: মঙ্গলবারে-শুক্কুরবারে
- ৯. মায়ের কাছে এসেছি। সবুজ শাড়ি পরাই।সঠিক উত্তর: সবুজ
- ১০. ফিশফিশ ক'রে বলে, "মা, মারী-আই-কে আমি গাঁয়ের ধারে রেখে এসেছি ।"সঠিক উত্তর: এসেছি
- ১১. প্রতি আষাঢ়ে অমাবস্যায় তোমার সামনে স্নানের পর ভেজা শাড়িতে গড়ান দিই।সঠিক উত্তর: অমাবস্যায়
- ১২. ছাগল দিতে না পারলে কুমড়ো দিই।সঠিক উত্তর: কুমড়ো
- ১৩. "তোমার দোরে রক্তের ছড়া দিই।"সঠিক উত্তর: রক্তের
- ১৪. তিনদিন হ'য়ে গেলো পোটরাজ রোঁদে বেরোয় না।সঠিক উত্তর: হ'য়ে গেলো
- ১৫. গলা চড়ায়, "ওহে দামা, পোটরাজ বাড়ি আছে?" মোড়ল ।সঠিক উত্তর: মোড়ল
- ১৬. না, দামা গাঁয়ের পোটরাজ।সঠিক উত্তর: দামা
- ১৭. মাকে গাঁয়ের সীমানায় নিয়ে যেতেই হবে।সঠিক উত্তর: মাকে
- ১৮. দুরপতের বড়ো ছেলে আনন্দ ।সঠিক উত্তর: আনন্দ
- ১৯. "ছেলে আমার হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ছে।"সঠিক উত্তর: ইংরেজি
- ২০. দুরপত ভাবে ছেলেটা দৌড়ে গেলো কেন?সঠিক উত্তর: ভাবে
- ২১. মা নিজে গাঁয়ের ধারে গিয়ে বসে আছেন।সঠিক উত্তর: মা
- ২২. ভক্তির জোরেই মা গাঁয়ের ধারে গেছেন। লোকে বলছে বটে দামার ।সঠিক উত্তর: দামার
- ২৩. দামা... তারপর একটু গরম ভাতের পায়েস খেলো।সঠিক উত্তর: ভাতের
- ২৪. দেবীর ছায়ায় বাস সকাল-সাঁঝ হ'তে পারে, কিন্তু সারা বছর।সঠিক উত্তর: সকাল-সাঁঝ
- ২৫. কপালে হলুদ, কুমকুম দিই।সঠিক উত্তর: কুমকুম
- ২৬. এবারে আনন্দ হাসে ।সঠিক উত্তর: হাসে
- ২৭. শঙ্কর রাও খারাট ১১ জুলাই ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।সঠিক উত্তর: ১৯২১
- ২৮. শঙ্কর রাও খারাট এপ্রিল ২০০১ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।সঠিক উত্তর: এপ্রিল ২০০১
- ২৯. জন্মগতভাবে তিনি মাহার সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।সঠিক উত্তর: মাহার
- ৩০. তিনি মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।সঠিক উত্তর: মারাঠাওয়াড়া
- ৩১. শঙ্কর রাও খারাট-এর একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল বারাট (১৯৬২)।সঠিক উত্তর: বারমাট
- ৩২. তার গল্পের বইয়ের মধ্যে অন্যতম হল তিতবেচা যেদাহ (১৯৬২)।সঠিক উত্তর: তিতবেচা যেদাহ
- ৩৩. প্রবন্ধ সংকলনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আডগাভাচে পানি এবা (১৯৭৩)।সঠিক উত্তর: আডগাভাচে পানি এবা
- ৩৪. তার আত্মজীবনীমূলক রচনা হল ড. আম্বেদকরের ধর্মাতন্ত্র ।সঠিক উত্তর: ড. আম্বেদকরের ধর্মাতন্ত্র
- ৩৫. সামাজিক পীড়নে নিষ্পেষিত দলিত সম্প্রদায়ের মুখে ভাষা জুগিয়েছে লেখকের লেখনী।সঠিক উত্তর: দলিত
- ৩৬. দামা গল্পের প্রধান চরিত্র।সঠিক উত্তর: গল্পের
- ৩৭. মাহার সম্প্রদায়ের দামাই হল গল্পের পোটরাজ।সঠিক উত্তর: মাহার
- ৩৮. মারী-আই-এর সেবক সে, ডুগডুগি ও চাবুক কাঁধে নিয়ে নাচে।সঠিক উত্তর: ডুগডুগি
- ৩৯. মারী-আই-এর মূর্তির পরনে থাকে সবুজ শাড়ি।সঠিক উত্তর: সবুজ
- ৪০. গলায় থাকে অনেক সবুজ বালার হার।সঠিক উত্তর: সবুজ
- ৪১. দামা যখন অসুস্থ থাকে, তখন মোড়ল পোটরাজ হবার কথা তোলে।সঠিক উত্তর: অসুস্থ
- ৪২. আনন্দকে পোটরাজ হতে বোঝানোর জন্য তার মা কান্নাকাটি করে।সঠিক উত্তর: কান্নাকাটি
- ৪৩. আনন্দ পোটরাজ হতে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালায়।সঠিক উত্তর: বাড়ি
- ৪৪. গল্পের শেষে মা মারী-আই গাঁয়ের ধারে গিয়ে বসে আছেন।সঠিক উত্তর: গাঁয়ের
- ৪৫. 'মায়ের দয়া' ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ মহামারী দেখা দিয়েছে।সঠিক উত্তর: মহামারী
- ৪৬. 'গাঁয়ের সর্বত্র কান্না আর চিৎকারের আওয়াজ।'সঠিক উত্তর: কান্না, চিৎকারের
আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি "পোটরাজ" গল্পটি বুঝতে আপনাদের সাহায্য করবে।
Notezy (নোটজি) ব্লগে (Notezy.blogspot.com) নিয়মিত এমন শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো আলোচনা নিয়ে!
Notezy Means Easy Notes For Learn Smart Score Better!