ভারতের জলসম্পদ One-liner Easy Notes | Geography Class 12rd Semester | Notezy - Easy Notes
Jayanta Mondal
June 08, 2025
ভারতের জলসম্পদ : Notezy
ভারতের জলসম্পদ অংশের এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য
- জল হলো একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু পৃথিবীর প্রায় ৯৭% জল লবণাক্ত জল ও মাত্র ৩% স্বাদু জল।
- ভারতের মোট ব্যবহারযোগ্য জলের ভূপৃষ্ঠস্থ জল ৬১%, ভূগর্ভস্থ জল ৩৮%।
- পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে সুপেয় জল ব্যবহৃত হয় প্রায় ৬%।
- গঙ্গা নদী ভারতের বৃহত্তম ভূপৃষ্ঠ জলের উৎস। সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা উল্লেখযোগ্য।
- কূপ ও নলকূপ সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জল মূলত ভূগর্ভস্থ জল থেকেই আসে।
- শহরাঞ্চলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য রিচার্জ পিট তৈরি করা হয়ে থাকে।
- গ্রামাঞ্চলে জল সংরক্ষণের জন্য প্রধানত চেক ড্যাম নির্মাণ করা হয়।
- শহরাঞ্চলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য রিচার্জ পিট তৈরি করা হয়ে থাকে।
- ড্রিপ সেচ পদ্ধতি ফসলের গোড়ায় সরাসরি অল্প পরিমাণ জল সরবরাহ করে।
- রাজস্থান ও গুজরাট অঞ্চলে কুন্ড নামে পরিচিত গর্তযুক্ত জলাধার ব্যবহৃত হতো।
- রাজস্থানে জোহার নামে খোলা জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হতো।
- মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে ট্যাঙ্ক বা ট্যাংকস খোলা জলাধার বা পুকুরে বর্ষার জল জমিয়ে সংরক্ষণ করা হতো।
- জল জীবন মিশন ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পানীয় জল সরবরাহ।
- পশ্চিমবঙ্গের 'জল ধরো জল ভরো' প্রকল্প জল সংরক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
- RWHS বা Rain Water Harvesting Structure বৃষ্টির জল সংরক্ষণের আধুনিক উপায়।
- বিশ্ব ও জাতীয় জল দিবস প্রতি বছর ২২ মার্চ পালন করা হয়।
- মালচিং পদ্ধতিতে মাটির উপর জৈব বা অজৈব পদার্থ (খড়, পাতা, প্লাস্টিক) বিছিয়ে দেওয়া হয়।
- তামিলনাড়ু বৃষ্টি জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অন্যতম পথপ্রদর্শক রাজা।
- একটি আদর্শ নদী অববাহিকার আয়তন হয় প্রায় ২০,০০০ বর্গ কিমির বেশি।
- জলবিভাজিকার মধ্যে আবদ্ধ উপনদী, শাখানদী নিয়ে সমগ্র নদী ব্যবস্থাকে বলা হয় নদী অববাহিকা।
- দুটি পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকা পৃথককারী উচ্চভূমিকে জলবিভাজিকা বলে।
- উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের নদী ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্ধ পর্বত একটি জলবিভাজিকার উদাহরণ।
- দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা (Damodar Valley Project) একটি গুরুত্বপূর্ণ অববাহিকা ব্যবস্থাপনা।
- সুখোমাজরি ও রালেগাঁও সিদ্ধি প্রকল্প ভারতের সবচেয়ে সফল অববাহিকা ব্যবস্থাপনা প্রকল্প।
- উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে আর্দ্র জলবিভাজিক ব্যবস্থাপনা বেশি কার্যকর।
- উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতে প্রধানত শুষ্ক জলবিভাজিক ব্যবস্থাপনা প্রচলিত।
- ভারতের প্রথম নদী পরিকল্পনা হলো দামোদর উপত্যকা প্রকল্প।
- DVC বা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন গঠিত হয় ১৯৪৮ সালে।
- বহুমুখী নদী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জলসেচের ব্যবস্থা করা।
- TVA বা টিনেসি ভ্যালি অথরিটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জলসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প।
- ভারতের বৃহত্তম বহুমুখী নদী পরিকল্পনা হিসেবে ভাকরা-নাঙ্গাল প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ।
- সমোন্নতি রেখা বরাবর বাঁধ নির্মাণ করে জল সংরক্ষণের জন্য কন্টুর বাঁধ ব্যবহৃত হয়।
- তারজালি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে ছোটো জলধারায় জল সংরক্ষণের জন্য গিবন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
-
- পুকুরের তলদেশে অপ্রবেশ্য স্তরে গর্ত তৈরি করে জল সংরক্ষণের পদ্ধতিকে শ্যাফট বলা হয়।
- বাড়ির চারপাশে পরিখা তৈরি করে জল সংরক্ষণের পদ্ধতিকে রিচার্জ ট্রেঞ্চ বলা হয়।
- ছোটো জলধারাগুলিতে বাঁধ তৈরি করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে গালি প্লাগ ব্যবহৃত হয়।
- সেচের উৎস: ভূগর্ভস্থ জল (নলকূপ/কূপ-৬২%), নদী ও ক্যানাল (২৬%), জলাশয় ও হ্রদ (১২%)।
- ভারতের ৫৫% ভূমি কৃষিকাজে ব্যবহৃত হলেও, এর মাত্র ৫১% সেচ সুবিধার আওতায়।
- ভারতে প্রায় ১৬% জমিতে কূপ দ্বার। জলসেচ হয়।
- কূপ সেচে প্রথম স্থানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য, সর্বোচ্চ সংখ্যক কূপ (৩৫ লক্ষ+)।
- সর্বোচ্চ কূপ ব্যবহার: উত্তরপ্রদেশ পাঞ্জাব হরিয়ানা।
- ভারতে প্রায় ৪৫% জমিতে নলকূপ দ্বারা জলসেচ করা হয়।
- ভারতে প্রায় ২৪% জমিতে সেচ খাল দ্বারা জলসেচ করা হয়।
- কূপ ও নলকূপ সেচ ব্যবহারে দেশের শীর্ষ রাজ্য হলো উত্তরপ্রদেশ।
- খাল সেচ ব্যবহারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে হরিয়ানা।
- জলাশয় সেচ ব্যবহারে প্রথম স্থান অধিকার করেছে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ।
- ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেচসেবিত জমি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
- বর্ষার জল দ্বারা পুষ্ট খালগুলিকে সাধারণত প্লাবন খাল বলা হয়।
- সারাবছর জল থাকে এমন নদী থেকে কাটা খাল-নিত্যবহ খাল। বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্লাবন খাল গুরুত্বপূর্ণ।
- সারদা খাল ভারতের দীর্ঘতম সেচখাল। ইন্দিরা গান্ধী খাল ভারতের বৃহত্তম খাল।
- পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য খালগুলির মধ্যে মেদিনীপুর খাল অন্যতম।
- কূপ ও নলকূপের মাধ্যমে অধিক জলসেচ করা হয়- উত্তর ভারতে।
- জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচ সর্বাধিক দেখা যায়- দক্ষিণ ভারতে।
- দক্ষিণ ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশে জলাশয় পদ্ধতিতে সেচ বেশি দেখা যায়।
- কূপ সেচে ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলোর মধ্যে চরস, মোল, রেথ ও পুরবট।
- দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা (DVC) হল স্বাধীন ভারতের প্রথম ও প্রাচীনতম বহুমুখী নদী পরিকল্পনা।
- দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা (DVC) প্রকল্পের কাজ হয় ১৯৪৮-১৯৫৫ সালে।
- ভারতের দীর্ঘতম বাঁধ হলো হীরাকুঁদ বাঁধ, যা ওড়িশার মহানদীর ওপর নির্মিত, দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮ কিমি।
- ভারতের উচ্চতম বাঁধ টেহরি বাঁধ। ভাকরা-নাঙ্গাল শতদ্রু নদীর ওপর অবস্থিত।
- পাঞ্চেত, বার্মো ও আয়ার বাঁধ নির্মিত হয়েছে দামোদর নদীর ওপর।
- নাগার্জুন সাগর প্রকল্প কৃষ্ণা নদীর ওপর নির্মিত। সর্দার সরোবর প্রকল্প গুজরাটের নর্মদা নদীর ওপর।
- ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণের ফলে ব্ল্যাক ফুট রোগ হতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত জলসেচের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়।
- চেন্নাইতে ২০১৯ সালে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাওয়ায় পানীয় জলের ভয়াবহ সংকট দেখা দেয়।
- অত্যাধিক ভৌমজল ব্যবহারে অনেক অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।