দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা নবনীতা দেবসেন: ব্যাখ্যা (MCQ প্রশ্ন উত্তর) : উচ্চমাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা কবিতা | শব্দার্থ + ফ্যাক্ট ফাইল + এক কথায় উত্তর

দিগ্বিজয়ের রূপকথা


'দিগ্বিজয়ের রূপকথা': নবনীতা দেবসেনের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি

নমস্কার Notezy -এ স্বাগতম!

আজ আমরা বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, নবনীতা দেবসেনের অনবদ্য সৃষ্টি 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতাটি নিয়ে আলোচনা করব। এই কবিতাটি শুধু একটি রূপকথা নয়, এটি বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং আত্মবিশ্বাসের এক অসাধারণ গল্প। চলুন, এই কবিতার গভীরে প্রবেশ করি এবং এর প্রতিটি দিক বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।

'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' - এক ঝলকে :(ফ্যাক্ট ফাইল)

'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতাটি জানুয়ারি, ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত 'নবনীতা দেবসেনের শ্রেষ্ঠ কবিতা' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে । এই কবিতাটিতে কল্পলোক ও রূপকের চমৎকার মিশ্রণ দেখা যায় । কবিতার কথক একজন রাজপুত্র, যিনি দুঃখিনী দুয়োরানীর সন্তান ।

তাঁর শরীরে রাজরক্ত প্রবাহিত হওয়ায় তিনি দিগ্বিজয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, যদিও তাঁর কাছে কোনো যুদ্ধাস্ত্র নেই । মায়ের স্নেহমিশ্রিত ভালোবাসা এবং প্রাণ উজাড় করা আশীর্বাদই তাঁর মূল সম্বল । এই আশীর্বাদমিশ্রিত দুটি সরঞ্জাম হলো 'জাদু-অশ্ব' (বিশ্বাস) এবং 'মন্ত্রপূতঃ অসি' (ভালোবাসা) । এই দুই অপরাজেয় শক্তির ওপর ভরসা করেই রাজপুত্র জীবনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে চান, যেখানে সকল তৃষ্ণার অবসান ঘটবে । বিশ্বাস তাঁর যাত্রাপথে উট, পুষ্পক রথ, সপ্তডিঙা, এবং পক্ষীরাজ রূপে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সাহায্য করে । আর ভালোবাসা তাঁর খণ্ডিত হৃদয়কে আশা যোগায় এবং ইস্পাতের মতো কঠিন ও অভঙ্গুর হয়ে তাঁকে রক্ষা করে ।

পুরো নাম: নবনীতা দেবসেন।

জন্ম: ১৩ জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতা।

মৃত্যু: ৭ নভেম্বর, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ।

পিতা-মাতা:

পিতা: নরেন্দ্র দেব (খ্যাতনামা সাহিত্যিক)।

মাতা: রাধারাণী দেবী (খ্যাতনামা সাহিত্যিক)।

নামকরণ: 'নবনীতা' নামটি তাঁর বাবা নরেন্দ্র দেবই দিয়েছিলেন।

শিক্ষাজীবন:

ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।

তুলনামূলক সাহিত্যে এম.এ. (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)।

তুলনামূলক সাহিত্যে এম.এ. (১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়)।

ডক্টরেট উপাধি (১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়)।

সংস্কৃত শিক্ষক: শুদ্ধসত্ত্ব বসু তাঁকে সংস্কৃত পড়াতেন।

কর্মজীবন: হার্ভার্ড, কলম্বিয়া, মেলবোর্ন, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বহু প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি এবং পশ্চিমবঙ্গ মহিলা লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠা-সভাপতিও ছিলেন।

সাহিত্যকর্মের পরিধি: উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, কাব্য-কবিতা, ভ্রমণসাহিত্য, হাস্যরসাত্মক রচনা, অনুবাদ সাহিত্য এবং শিশুসাহিত্য।

প্রথম কাব্যগ্রন্থ: 'প্রথম প্রত্যয়' (প্রকাশকাল: ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ)।

দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ: 'স্বাগত দেবদূত'।

প্রথম উপন্যাস: 'আমি অনুপম'।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: 'তিন ভুবনের পারে'।

উল্লেখযোগ্য রসবোধ: পরিশীলিত রসবোধ তাঁর লেখনীর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।

লেখনীর মূল বিষয়: মধ্যবিত্ত বাঙালির ঔপনিবেশিক-পরবর্তী সামাজিক ও মানসিক সমস্যা, মুক্তমনা মানসিকতা, এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখা।

সম্মাননা ও পুরস্কার:

'পদ্মশ্রী' (২০০০ খ্রিস্টাব্দ)।

'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার' (১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ)।

'রবীন্দ্র পুরস্কার' (২০০৪ খ্রিস্টাব্দ)।

শিশুসাহিত্যে 'বিদ্যাসাগর পুরস্কার'।

'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার উৎস: জানুয়ারি, ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত 'নবনীতা দেবসেনের শ্রেষ্ঠ কবিতা' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত।

কবিতার ধরন: এটি একটি রূপকাশ্রয়ী কবিতা, যেখানে কল্পলোক ও রূপকের মিশ্রণ দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় চরিত্র: একজন রাজপুত্র (দুঃখিনী দুয়োরানীর সন্তান)।

রাজপুত্রের সম্বল: মায়ের স্নেহমিশ্রিত ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ।

দুটি আশীর্বাদী সরঞ্জাম:

জাদু-অশ্ব: যা 'বিশ্বাস'-এর প্রতীক। মরুপথে এটি উট, আকাশে পুষ্পক রথ, সিন্ধুজলে সপ্তডিঙা এবং তেপান্তরে পক্ষীরাজ হয়ে ওঠে।

মন্ত্রপূতঃ অসি: যা 'ভালোবাসা'-এর প্রতীক। এটি হৃদয়ের খাপে ভরা এবং শানিত ইস্পাত খণ্ডের মতো অভঙ্গুর।

কবিতার মূল বার্তা: যুদ্ধাস্ত্রবিহীন রাজপুত্রের কেবল বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে পাথেয় করে জীবনের চূড়ান্ত 'তৃষ্ণাহীন' পর্যায়ে বা 'খর্জুরের দ্বীপে' পৌঁছানোর আত্মবিশ্বাস।

নবনীতা দেবসেন: এক কিংবদন্তী সাহিত্যিক

নবনীতা দেবসেন (১৩ জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ – ৭ নভেম্বর, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব । মধ্যবিত্ত বাঙালির সামাজিক ও মানসিক সমস্যা, পরিশীলিত রসবোধ, মুক্তমনা মানসিকতা এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখা তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য । তাঁর লেখায় বাস্তবতা ও কল্পনার মিশ্রণ এবং রূপকের আড়ালে কঠোর সত্যের প্রকাশ দেখা যায় । নারী স্বাধীনতা, সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি তাঁর সাহিত্যকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে । তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে এম.এ. (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে এম.এ. (১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ) ডিগ্রি অর্জন করেন । ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন (১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ) । তাঁর কর্মজীবনে তিনি হার্ভার্ড, কলম্বিয়া, মেলবোর্ন, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বহু প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন । তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি এবং পশ্চিমবঙ্গ মহিলা লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠা-সভাপতিও ছিলেন । তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, কাব্য-কবিতা, ভ্রমণসাহিত্য, হাস্যরসাত্মক রচনা, অনুবাদ সাহিত্য এবং শিশুসাহিত্য উল্লেখযোগ্য । তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রথম প্রত্যয়' ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । তিনি 'পদ্মশ্রী' (২০০০ খ্রিস্টাব্দ), 'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার' (১৯৯৯), 'রবীন্দ্র পুরস্কার' (২০০৪) এবং শিশুসাহিত্যে 'বিদ্যাসাগর পুরস্কার' সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ।

নবনীতা দেবসেন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর লেখায় শুধু সামাজিক সমস্যাই নয়, কল্পনার ছোঁয়াও থাকত. রূপকের আড়ালে তিনি অনেক কঠিন সত্যকে প্রকাশ করেছেন । নারীর সাহস, স্বাধীনতা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি তাঁর সাহিত্যকে এক বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে । তাঁর সাহিত্যকর্মের পরিধি ছিল বিশাল – উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, কবিতা, ভ্রমণসাহিত্য, হাস্যরসাত্মক রচনা, অনুবাদ সাহিত্য এবং শিশুসাহিত্য ।

শব্দার্থ:

দিগ্বিজয়: পূর্বে রাজা-মহারাজারা যুদ্ধসাজে সৈন্যসহকারে বিভিন্ন স্থানে (দেশ) দখল করার জন্য বের হতেন এবং যুদ্ধ করে অন্য রাজাদের পরাজিত করে সেইসকল স্থান নিজের অধিকারে আনতেন। একেই দিগ্বিজয় বলা হয়.

রূপকথা: ছেলে-ভুলানো অবাস্তব কল্পনামূলক কাহিনি.

রাজপুত্র: রাজার পুত্র.

দুয়োরানী: সাধারণভাবে শিশুমনকে আনন্দদানের উদ্দেশ্যে রূপকথার গল্প সৃষ্টি করা হত এবং সেখানেই দুয়োরানীর পরিচয় পাওয়া যায়। দুয়োরানী হলেন রাজার বড়ো রানী, কিন্তু উপেক্ষিতা, যাকে অনেক দুঃখযন্ত্রণা ভোগ করতে হত.

কবচকুণ্ডল: পৌরাণিক সাহিত্যে এর পরিচয় পাওয়া যায় (যেমন- কর্ণের কবচকুণ্ডল)। এটি একপ্রকার অভেদ্য বর্ম, যা দৈবসৃষ্টি এবং ব্যক্তিকে অস্ত্রের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে.

তুণীর: তির বা বাণ রাখার পাত্রবিশেষ.

শিরস্ত্রাণ: মাথাকে রক্ষা করার আবরণবিশেষ, যা বিশেষ ধাতুর সাহায্যে নির্মিত.

আশীর্বাদী: আশীর্বাদ মিশ্রিত বা নিহিত রয়েছে যাতে.

সরঞ্জাম: উপকরণ; বস্তু.

জাদু-অশ্ব: মায়া-ঘোড়া বা অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়া. এটি 'বিশ্বাস'-এর প্রতীক.

মরুপথ: মরুভূমি; মরুভূমির মধ্যে বিস্তৃত পথ.

পুষ্পক: দৈব রথ; পৌরাণিক সাহিত্য ও রূপকথার কাহিনিতে বর্ণিত বিশেষ প্রকারের রথ, যা আকাশপথে ছুটে চলতে সক্ষম.

সপ্তডিঙ্গা: সাতটি ডিঙি (নৌকা)-র সমাহার। মঙ্গলকাব্যের বণিকগণ (চাঁদ সওদাগর, ধনপতি সওদাগর) সপ্তডিঙা মধুকরসহ বাণিজ্যে যাত্রা করতেন.

সিন্ধুজলে: 'সিন্ধু' হল সমুদ্র। সিন্ধুজলে বলতে সমুদ্রের জলকে বোঝানো হয়.

তেপান্তর: তিনটি প্রান্তরের সমাহার। রূপকথায় তেপান্তর শব্দের বহুল প্রয়োগ লক্ষণীয়.

পক্ষীরাজ: রূপকথায় বর্ণিত ঘোড়া, যার পাখির মতো ডানা আছে। পক্ষীরাজের পিঠে চড়েই রূপকথার নায়ক দ্রুত কোনো স্থানে পৌঁছে যেতেন অথবা যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য পেতেন.

মন্ত্রপূত: মন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান যা.

শানিত: ধারালো; তীক্ষ্ণ.

ইস্পাত: লৌহখণ্ড.

অভঙ্গুর: যা ভাঙা বা খণ্ডিত নয়; যাকে ভাঙা যায় না.

তৃষ্ণাহর: তৃষ্ণা হরণ করে যা.

খর্জুর: খেজুর.

প্রশ্নোত্তরমালা: 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা'

চলুন, এবার কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে কবিতার মূল বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে বুঝে নিই।

এক লাইনের প্রশ্ন ও উত্তর:

  1. নবনীতা দেবসেন কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন?
    উত্তর: কলকাতা
  2. নবনীতা দেবসেনের জন্মসাল কত?
    উত্তর: ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ
  3. সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেনের পিতার নাম কী?
    উত্তর: নরেন্দ্র দেব
  4. নবনীতা দেবসেন কোন বিষয়ে এম.এ. পাশ করেন?
    উত্তর: তুলনামূলক সাহিত্য
  5. 'প্রথম প্রত্যয়' গ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
    উত্তর: নবনীতা দেবসেন
  6. 'পুতুল নাচের ইতিকথা' গ্রন্থটি নবনীতা দেবসেন রচনা করেননি। তিনি কোন গ্রন্থটি রচনা করেছেন?
    উত্তর: 'আমি অনুপম'
  7. 'খগেনবাবুর পৃথিবী' গ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
    উত্তর: নবনীতা দেবসেন
  8. নবনীতা দেবসেন কোন বছর 'পদ্মশ্রী' খেতাব পান?
    উত্তর: ২০০০ খ্রিস্টাব্দে
  9. নবনীতা দেবসেন কোন খেতাবটি অর্জন করেননি?
    উত্তর: ভারতরত্ন
  10. নবনীতা দেবসেনের মৃত্যু কত সালে হয়?
    উত্তর: ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে
  11. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কার লেখা?
    উত্তর: নবনীতা দেবসেন
  12. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতাটি কোন মূল গ্রন্থের অন্তর্গত?
    উত্তর: 'নবনীতা দেবসেনের শ্রেষ্ঠ কবিতা'
  13. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতাটি কোন শ্রেণির কবিতা?
    উত্তর: রূপকাশ্রয়ী
  14. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতায় কথক নিজেকে কীভাবে অভিহিত করেছেন?
    উত্তর: রাজপুত্র
  15. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতায় বর্ণিত 'জননী' কেমন?
    উত্তর: দুঃখিনী
  16. রাজপুত্রকে কোথায় যেতেই হবে?
    উত্তর: দিগ্বিজয়ে
  17. রাজপুত্রকে কে সাজিয়ে দিলেন?
    উত্তর: দুয়োরানী
  18. 'তুণীর' কিসের সঙ্গে সম্পর্কিত?
    উত্তর: ধনুক
  19. রাজপুত্রর কাছে কী ছিল না?
    উত্তর: যুদ্ধাস্ত্র
  20. রাজপুত্রর কাছে যে দুটি আশীর্বাদী সরঞ্জাম ছিল, তাদের একটি কী?
    উত্তর: ভালোবাসা
  21. মরুপথে যে উট হয়, তার নাম কী?
    উত্তর: জাদু-অশ্ব
  22. জাদু-অশ্ব কোথায় পক্ষীরাজ হয়ে দেখা দেয়?
    উত্তর: তেপান্তরে
  23. আকাশে 'পুষ্পক আর সপ্তডিঙ্গা সাজে সিন্ধুজলে', এখানে 'পুষ্পক' কী?
    উত্তর: রথ
  24. 'সপ্তডিঙ্গা' কথাটি সাধারণভাবে কোন কাব্যধারার সঙ্গে যুক্ত?
    উত্তর: মঙ্গলকাব্য
  25. 'পক্ষীরাজ' কী ধরনের প্রাণী?
    উত্তর: কল্পিত ঘোড়া
  26. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথক পক্ষীরাজ সওয়ার হয়ে কোথায় ছুটবেন?
    উত্তর: তেপান্তরে
  27. 'তার নাম রেখেছি: বিশ্বাস' - কার নাম?
    উত্তর: জাদু-অশ্বের
  28. 'মন্ত্রপূতঃ অসি' কোথায় ছিল?
    উত্তর: হৃদয়ের খাপে
  29. শানিত 'ইস্পাত খণ্ড' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
    উত্তর: অসিকে
  30. কবিতায় বর্ণিত শানিত ইস্পাত খণ্ডের প্রকৃতি কেমন?
    উত্তর: অভঙ্গুর
  31. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথকের হৃদয়ে কী রয়েছে?
    উত্তর: ভালোবাসা
  32. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথক নিশ্চিতভাবেই কোথায় পৌঁছোবেন?
    উত্তর: খর্জুরের দ্বীপে
  33. যে আশীর্বাদী সরঞ্জাম কবির কাছে আছে, সেগুলি কী কী?
    উত্তর: বিশ্বাস ও ভালোবাসা
  34. খর্জুরের দেশে পৌঁছোলে কী ঘটবে?
    উত্তর: কবির তৃষ্ণার অবসান ঘটবে
  35. নবনীতা দেবসেনের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
    উত্তর: প্রথম প্রত্যয়
  36. নবনীতা দেবসেনের প্রথম উপন্যাসের নাম কী?
    উত্তর: আমি অনুপম
  37. নবনীতা দেবসেনকে কে 'নবনীতা' নামটি দিয়েছিলেন?
    উত্তর: নরেন্দ্র দেব
  38. নবনীতা দেবসেনকে কে সংস্কৃত পড়াতেন?
    উত্তর: শুদ্ধসত্ত্ব বসু
  39. নবনীতা দেবসেনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
    উত্তর: স্বাগত দেবদূত
  40. মহাভারতের কাহিনি অনুসারে 'কবচকুণ্ডল' প্রসঙ্গে কার নাম জড়িত?
    উত্তর: কর্ণ
  41. যেখানে 'বাণ' রাখা হয় তা কী?
    উত্তর: তৃণীর
  42. বিঘ্ন নিবারণকারী মন্ত্রপূত রক্ষা তাবিজ কী?
    উত্তর: কবচকুণ্ডল
  43. রূপকথায় বর্ণিত অজানা মাঠ কী নামে পরিচিত?
    উত্তর: তেপান্তর
  44. দিগ্বিজয়ে যাওয়া যোদ্ধার মা কেমন ছিলেন?
    উত্তর: দুঃখিনী
  45. 'কবচকুণ্ডল' কী?
    উত্তর: মন্ত্রপূত মাদুলি
  46. রাজপুত্রের যুদ্ধে যাবার জন্য কী ছিল?
    উত্তর: অসি
  47. রাজপুত্রের দিগ্বিজয়ে যাবার জন্য কতটি সরঞ্জাম ছিল?
    উত্তর: ২টি
  48. দিগ্বিজয়ে যাবার সরঞ্জাম দুটির একটি 'জাদু-অশ্ব' অপরটি কী?
    উত্তর: অসি
  49. জাদু-অশ্ব আকাশে কার ভূমিকা পালন করে?
    উত্তর: পুষ্পকের
  50. সিন্ধুজলে জাদু-অশ্বের সাজ কী হয়?
    উত্তর: সপ্তডিঙা
  51. মরুপথে জাদু-অশ্ব কী হয়ে ওঠে?
    উত্তর: উট
  52. কোথায় জাদু-অশ্ব পুষ্পকের রূপ ধারণ করে?
    উত্তর: আকাশে
  53. 'আকাশে পুষ্পক আর সপ্তডিঙ্গা সাজে সিন্ধুজলে,' - 'পুষ্পক' কী?
    উত্তর: রথ
  54. কবি জাদু-অশ্বের নাম কী দিয়েছেন?
    উত্তর: বিশ্বাস
  55. শানিত 'ইস্পাত খণ্ড' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
    উত্তর: অসিকে
  56. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথকের হৃদয়ে কী রয়েছে?
    উত্তর: ভালোবাসা
  57. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথক নিশ্চিতভাবেই কোথায় পৌঁছোবেন?
    উত্তর: খর্জুরের দ্বীপে
  58. খর্জুরের দেশে পৌঁছোলে কী ঘটবে?
    উত্তর: কবির তৃষ্ণার অবসান ঘটবে
  59. রাজপুত্রকে কে সাজিয়ে দিলেন?
    উত্তর: দুয়োরানী
  60. 'তুণীর' কিসের সঙ্গে সম্পর্কিত?
    উত্তর: ধনুক
  61. রাজপুত্রর কাছে কী ছিল না?
    উত্তর: যুদ্ধাস্ত্র
  62. রাজপুত্রর কাছে যে দুটি আশীর্বাদী সরঞ্জাম ছিল, তাদের একটি কী?
    উত্তর: ভালোবাসা
  63. জাদু-অশ্ব কোথায় পক্ষীরাজ হয়ে দেখা দেয়?
    উত্তর: তেপান্তরে
  64. 'সপ্তডিঙ্গা' কথাটি সাধারণভাবে কোন কাব্যধারার সঙ্গে যুক্ত?
    উত্তর: মঙ্গলকাব্য
  65. 'পক্ষীরাজ' কী ধরনের প্রাণী?
    উত্তর: কল্পিত ঘোড়া
  66. 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতার কথক পক্ষীরাজ সওয়ার হয়ে কোথায় ছুটবেন?
    উত্তর: তেপান্তরে
  67. 'তার নাম রেখেছি: বিশ্বাস' - কার নাম?
    উত্তর: জাদু-অশ্বের
  68. 'মন্ত্রপূতঃ অসি' কোথায় ছিল?
    উত্তর: হৃদয়ের খাপে
  69. কবিতায় বর্ণিত শানিত ইস্পাত খণ্ডের প্রকৃতি কেমন?
    উত্তর: অভঙ্গুর
  70. যে আশীর্বাদী সরঞ্জাম কবির কাছে আছে, সেগুলি কী কী?
    উত্তর: বিশ্বাস ও ভালোবাসা

শূন্যস্থান পূরণ করো:

  1. নবনীতা দেবসেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে _______ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
    উত্তর: স্নাতক
  2. নবনীতা দেবসেন _______ দেবীর কন্যা।
    উত্তর: রাধারাণী
  3. কবি নবনীতা দেবসেন এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন _______ সাহিত্যে।
    উত্তর: তুলনামূলক
  4. সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন _______ পুরস্কার লাভ করেন ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
    উত্তর: সাহিত্য অকাদেমি
  5. শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য নবনীতা দেবসেন _______ পুরস্কার অর্জন করেন।
    উত্তর: বিদ্যাসাগর
  6. 'রক্তে আমি _______।'
    উত্তর: রাজপুত্র
  7. 'হলেনই বা _______ জননী।'
    উত্তর: দুঃখিনী
  8. '_______ যেতে হবে।'
    উত্তর: দিগ্বিজয়ে
  9. 'দুয়োরানী _______ দিলেন সাজিয়ে।'
    উত্তর: সাজিয়ে
  10. 'কবচকুণ্ডল নেই, ধনুক তৃণীর, _______ কিছুই ছিল না।'
    উত্তর: শিরস্ত্রাণ
  11. 'শুধু আশীর্বাদী দুটি _______।'
    উত্তর: সরঞ্জাম
  12. '_______ যেতে হবে রাজপুত্রকে।'
    উত্তর: দিগ্বিজয়ে
  13. 'মরুপথে সেই হয় _______।'
    উত্তর: উট
  14. '_______ সাজে সিন্ধুজলে।'
    উত্তর: সপ্তডিঙ্গা
  15. 'তেপান্তরে _______।'
    উত্তর: পক্ষীরাজ
  16. 'তার নাম রেখেছি: _______।'
    উত্তর: বিশ্বাস
  17. 'এই হৃদয়ের খাপে ভরা _______ অসি।'
    উত্তর: মন্ত্রপূতঃ
  18. 'শাণিত _______ খণ্ড।'
    উত্তর: ইস্পাত
  19. 'নিশ্চিত পৌঁছুবো সেই _______ খর্জুরের দ্বীপে।'
    উত্তর: তৃয়াহর
  20. 'শাণিত ইস্পাত খণ্ড _______।'
    উত্তর: অভঙ্গুর
  21. 'পৌঁছুবো সেই তৃষ্ণাহর _______ দ্বীপে।'
    উত্তর: খর্জুরের
  22. 'পুষ্পক আর সপ্তডিঙ্গা সাজে সিন্ধুজলে, _______।'
    উত্তর: আকাশে
  23. নবনীতা দেবসেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
  24. নবনীতা দেবসেন রাধারাণী দেবীর কন্যা।
  25. কবি নবনীতা দেবসেন এম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তুলনামূলক সাহিত্যে।
  26. সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
  27. শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য নবনীতা দেবসেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার অর্জন করেন।
  28. 'রক্তে আমি রাজপুত্র।'
  29. 'হলেনই বা দুঃখিনী জননী।'
  30. 'দিগ্বিজয়ে যেতে হবে।'
  31. 'দুয়োরানী সাজিয়ে দিলেন সাজিয়ে।'
  32. 'কবচকুণ্ডল নেই, ধনুক তৃণীর, শিরস্ত্রাণ কিছুই ছিল না।'
  33. 'শুধু আশীর্বাদী দুটি সরঞ্জাম।'
  34. 'মরুপথে সেই হয় উট, আকাশে পুষ্পক।'
  35. 'এই হৃদয়ের খাপে ভরা মন্ত্রপূতঃ অসি।'
  36. 'শাণিত ইস্পাত খণ্ড। অভঙ্গুর।'
  37. 'নিশ্চিত পৌঁছুবো সেই তৃয়াহর খর্জুরের দ্বীপে।'
  38. 'পৌঁছুবো সেই তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপে।'
  39. 'সপ্তডিঙ্গা সাজে সিন্ধুজলে, তেপান্তরে পক্ষীরাজ।'
  40. 'এই হৃদয়ের খাপে ভরা ভালোবাসা।'

উপসংহার

'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' কবিতাটি নবনীতা দেবসেনের এক কালজয়ী সৃষ্টি, যা আমাদের শেখায় যে বাস্তবতার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি দিয়ে যেকোনো কঠিন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। রাজপুত্রের এই যাত্রা শুধু একটি ভৌগোলিক দিগ্বিজয় নয়, এটি মানব মনের অভ্যন্তরীণ শক্তির বিজয়।

আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের 'দিগ্বিজয়ের রূপকথা' এবং নবনীতা দেবসেন সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। আরও এমন শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু জানতে Notezy.blogspot.com-এ নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!