ভারতের ভূগোল : Unit -1 - ভারতের জনসংখ্যা Class 12 rd Semester Geography Easy One-liner Notes | NoteZy
Jayanta Mondal
May 30, 2025
ভারতের জনসংখ্যা তথ্য
ভারতের জনসংখ্যা অংশের এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ক্ষেত্রমানে ভারতের স্থান: ৭ম; ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিমি।
- ভূগোলে জনসংখ্যা বলতে 'কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে' বোঝায়।
- সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হল- চিন।
- দ্বিতীয় জনবহুল দেশ হল ভারত (বর্তমানে প্রথম)।
- ভারতে রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক মানুষ (১৯.৫ কোটি) বাস করে।
- রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা দেখা যায় সিকিমে (৬.০৭ লক্ষ্য)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে জনসংখ্যা সর্বাধিক দেখা যায় দিল্লিতে (১.৬৭ কোটি)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা লক্ষ্য করা যায় লাক্ষাদ্বীপে।
- ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দশকীয় হার ছিল ১৭.৭%।
- বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৬৪%।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল মেঘালয় রাজ্যে (২৭.৯৫%)।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম (নেতিবাচক) ছিল নাগাল্যান্ড রাজ্যে (-০.৫৮%)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক দাদরা ও নগর হাভেলি (৫৫.৮৫%)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন লাক্ষাদ্বীপ (৬.২৫%)।
- ভারতবর্ষে গ্রাম থেকে শহরে অধিক পরিব্রাজন হয় বলে শহরে জনসংখ্যা ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
- ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮২ জন।
- ভারতের প্রথম আদমশুমারি শুরু হয়েছিল ১৮৭২ সালে। (ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মেয়োর আমলে)
- আদমশুমারি: ১৮৮১ সালে ভারতে প্রথম আদমশুমারি থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর নিয়মিত জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
- স্বাধীন ভারতে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে।
- ২০১১ (১৫তম) আদমশুমারির স্লোগান ছিল 'Our Census, Our Future'.
- দেশের মোট জনসংখ্যা এবং ওই অঞ্চলের মোট জমির পরিমাণের অনুপাতকে জনঘনত্ব বলে।
- জনঘনত্ব সর্বোচ্চ: বিহার (১,১০৬ জন/বর্গকিমি)। সর্বনিম্ন: অরুণাচল প্রদেশ (১৭ জন/বর্গকিমি)।
- দিল্লি (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল): জনঘনত্ব ১১,৩২০ জন/বর্গকিমি, যা ভারতে সর্বোচ্চ।
- পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,০২৯ জন।
- জাতীয় গড় সাক্ষরতা: ৭৪.০৪%। সর্বোচ্চ সাক্ষরতা: কেরালা (৯৬.২%)। সর্বনিম্ন: বিহার (৬৩.৮%)।
- সর্বোচ্চ গ্রামীণ জনসংখ্যা: উত্তরপ্রদেশ (১৫.৫ কোটি)। সর্বোচ্চ শহুরে জনসংখ্যা: মহারাষ্ট্র (৫.০৮ কোটি)।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার - সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার: মেঘালয় (২৭.৮%)। সর্বনিম্ন বৃদ্ধি: নাগাল্যান্ড (০.৫৮%)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক দাদরা ও নগর হাভেলি (৫৫.৮৫%)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন লাক্ষাদ্বীপ (৬.২৫%)
- ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধির বছর হিসেবে ১৯২১ সালকে উল্লেখ করা হয়।
- জনসংখ্যার প্রকৃত বৃদ্ধি জন্ম - মৃত্যু + অভিবাসনে - বহির্গমন।
- ১৯৫১-১৯৮১ দশকটিকে ভারতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সময়।
- ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৩৩ জন।
- ২০১১ সাল অনুসারে ভারতে এর হার প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৩৫ জন।
- পশ্চিমবঙ্গে লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৫০ জন নারী।
- উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে লিঙ্গ অনুপাত বেশি।
- মধ্যভারতে ট্রাইবাল অধ্যুষিত এলাকায় লিঙ্গ অনুপাতে মহিলা সংখ্যা বেশি।
- ভারতে নারী পুরুষ অনুপাত সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টানদের (১০০৯) এবং শিখদের সবচেয়ে কম (৯৪৩)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লিঙ্গ অনুপাত দেখা যায় পদুচেরিতে (১০৩৭)।
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম লিঙ্গ অনুপাত দেখা যায় দমন ও দিউতে (৬১৮)।
- ভারতের প্রধান ধর্ম হলো হিন্দু ধর্ম এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান ধর্ম।
- বিশ্বের প্রধান ধর্ম হলো খ্রিস্টান ধর্ম এবং ভারতে এটি তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম।
- নাগাল্যান্ড হলো খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য এবং পাঞ্জাবে শিখ ধর্মাবলম্বী সর্বাধিক।
- মহারাষ্ট্রে জৈন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং অরুণাচলপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ।
- ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত ভাষার সংখ্যা ২২টি।
- বাংলা ভারতের দ্বিতীয় প্রধান ভাষা।
- প্রধান ভাষা গোষ্ঠী হলো ইন্দো-ইউরোপীয় (আর্য), দ্রাবিড়ীয়, অস্ট্রিক ও চিন-টিবেটীয়।
- সরকারি ভাষাঃ হিন্দি ও ইংরেজি।
- কোঙ্কণি ভাষার রাজ্যঃ গোয়া।
- ডোগরি ভাষার রাজ্য: জম্মু ও কাশ্মীর।
- মালয়ালম ভাষাঃ কেরল।
- তেলেগু ভাষার রাজ্য: অন্ধ্র প্রদেশ।
- মৈথিলি ভাষার রাজ্যঃ বিহার।
- মেইতি ভাষার রাজ্য: মণিপুর।
- ভারতের প্রধান ভাষা গোষ্ঠী: ইন্দো-ইউরোপীয় বা আর্য ভাষা গোষ্ঠী।
- অস্ট্রিক ভাষা গোষ্ঠী: সাঁওতালি, খাসি, নিকোবরী।
- ভারতের ২য় প্রধান ভাষা: বাংলা।
- সংস্কৃত থেকে উদ্ভুত ভাষা গোষ্ঠী: দ্রাবিড়ীয় ভাষা গোষ্ঠী।
- কাজে অংশগ্রহণের হারে হিমাচলপ্রদেশ সর্বোচ্চ এবং লক্ষদ্বীপ সর্বনিম্ন।
- ভারতের কর্মে অনিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৭২.৮৫ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ৬০.১৯ শতাংশ।
- প্রাথমিক ক্ষেত্রে (কৃষি ও সংশ্লিষ্ট) নিয়োজিত ২২.৭৪ কোটি জনসংখ্যা ছিল যা মোটের ৪৭.২২ শতাংশ।
- গৌণ ক্ষেত্র (শিল্প) এবং প্রগৌণ ক্ষেত্র (পরিষেবা) যথাক্রমে (১১.৮৭ কোটি) ২৪.৬৫ শতাংশ ও (৯.৬০ কোটি) ২০.১৩ শতাংশ নিযুক্ত।
- ভারতের নির্ভরশীল জনসংখ্যা ৪৮.২১ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ৩৯.৭০ শতাংশ।
- মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে ভিল, গন্ড, কোল, ওরাওঁ ইত্যাদি উপজাতি বড় ভূমিকা রাখে।
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জারোয়া ও ওঙ্গে উপজাতি এখনো স্বকীয় জীবনযাপন করছে।
- হিমালয় অঞ্চলে ভুটিয়া, গাদ্দি, শেরপা প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠী প্রধান।
- পশ্চিমবঙ্গ: ভিল, বিরহোর, গন্ড, হো, কোল, কোড়া, লেপচা, লোধা, মুন্ডা, ওরাওঁ, সাঁওতাল, শবর।
- গন্ড এশিয়ার বৃহত্তম উপজাতি।
- ভিল রাজস্থানে সবচেয়ে বড় উপজাতি।
- টোডা পশুপালনে পারদর্শী।
- সাঁওতাল : ভারতের অন্যতম বৃহৎ কৃষিভিত্তিক উপজাতি।
- শরণার্থী আগমনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রাজ্যঃ পশ্চিমবঙ্গ।
- ধারণযোগ্য উন্নয়ন' প্রথম ব্যবহারঃ এভা বেলফোর।
- ব্রন্টল্যান্ড কমিশন: ধারণযোগ্য উন্নয়ন।
- নেগ্রিটোঃ আন্দামান ও নিকোবরের অধিবাসী।
- মঙ্গোলয়েড: হিমালয় অঞ্চলের অধিবাসী।
- দ্রাবিড়: দাক্ষিণাত্যের অধিবাসী।